এসজেডিএ-র বোর্ড মিটিং। —নিজস্ব চিত্র
বাম আমলে চাঁদমণি চা বাগানে উপনগরী তৈরির জন্য জমি হস্তান্তরের সময়ে অনিয়ম হয়েছে বলে সন্দেহ হওয়ায় বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ‘স্পেশাল অডিট’ করাচ্ছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)। শনিবার এসজেডিএ-এর বোর্ড মিটিঙের পরে এ কথা জানান সংস্থার চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “চাঁদমণি চা বাগানের জমি দেওয়ার সময় উপনগরী নির্মাতা সংস্থাকে ৩৯ একর জমি অতিরিক্ত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। প্রতি একর ৫ কোটি টাকা হিসেবে ওই জমির বর্তমান মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা।” গৌতমবাবুর অভিযোগ, বাম আমলে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা এসজেডিএ-এর তৎকালীন চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যের ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।”
প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবু অবশ্য যে কোনও ধরনের তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। অশোকবাবু বলেন, “চাঁদমণি চা বাগানের মালিকপক্ষই উপনগরী তৈরির জন্য জমির চরিত্র পরিবর্তন করিয়েছেন। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই সব কাজ হয়েছে। উচ্চ আদালতও মামলার রায়ে জমি হস্তান্তরে কোনও অনিয়ম হয়নি বলে জানিয়েছে।” তিনি জানান, চাঁদমণি চা বাগানে দুই জায়গায় যথাক্রমে ২৬ একর ও ৩৯ একর জমি খাস হিসেবে চিহ্নিত করে ভূমিসংস্কার দফতর। তা সরকারি জমি হিসেবেই নথিভুক্ত রয়েছে। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ভূমিসংস্কার দফতরে খোঁজ নিয়ে দেখুন।”
এ বিষয়ে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা এসজেডিএর সদস্য শঙ্কর মালাকার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “এসজেডিএ বোর্ডের দুর্নীতির তদন্ত শেষ হলেই আমি পদত্যাগ করব। তার আহে বোর্ড মিটিঙে যাব না।”
এদিন গৌতমবাবু জানান, এর আগে যাঁদের এসজেডিএর পক্ষ থেকে জমি দেওয়া হয়েছিল, দীর্ঘদিন ফেলে রাখার ফলে তাঁদের ব্যবহার করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই তাঁর উত্তর না এলে জমি পেরত নেওয়া হবে। এর মধ্যে ভিডিওকন, কার্গো কমপ্লেক্স, জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও রয়েছেন। তবে সৌরভের মত আইকনকে সরকার আরও সুযোগ দিতে চায় বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিও যদি উদ্যোগী না হন তা হলে সেই জমিও ফেরত নেওয়া হবে।