ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
বাবলাতলা স্পোর্টস কমপ্লেক্স আয়োজিত ২৫ তম বাবলাতলা নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হল শিলিগুড়ি স্পোর্টিং ইউনিয়ন। বুধবার তারা ২১ রানে হারায় আঠারোখাই সরোজিনী সঙ্ঘকে। প্রথম ব্যাট করে নির্ধারিত ৩৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করে বিজয়ী দল। সরোজিনী ২১৮ রানেই শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও বড় রানের বিরুদ্ধে চাপের মুখে ভেঙে পড়েন তাঁরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নামে স্পোর্টিং ইউনিয়ন। কলকাতার বিভিন্ন নামী ক্লাব থেকে খেলোয়াড় নিয়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে ভাল দল গড়েছেন স্পোর্টিং কর্তারা। ফলে দলের কাছে প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। খেলার শুরুতেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার মুখে রূপম দাস ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে রান আউট হয়ে যান। ক্ষুব্ধ সমর্থকরা মাঠে ঢুকে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ রাখতে হয়। ৪০ মিনিট বিরতির পর আয়োজকরা তাদের শান্ত করে ফের খেলা শুরু করার পরিস্থিত তৈরি করেন। খেলা শুরু হয়। মাঝে মধ্যেই উগ্র সমর্থকদের দাপটে তাল কাটলেও বড় কোনও সমস্যা তৈরি হতে পারেনি। এরপর অবশ্য দাপটে ব্যাট করে স্পোর্টিংবাহিনী। তাদের হয়ে প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় ৫৮, দীপ চট্টোপাধ্যায় ৪৬ ভালো রান করেন। সরোজিনীর হয়ে তেমন কেউ দাগ কাটতে না পারলেও চন্দন মণ্ডল ৩ টি অবিনাশ সিংহ ২ টি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করে নেমে প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকায় বিজিত দলের ব্যাটিং আক্রমণ দানা বাঁধতে পারেনি কখনওই। তাঁদের হয়ে অনুপ বারিক ৪৭, মহম্মদ আজহারুদ্দিন ও বিজয় ভারতী উভয়েই ৩১ রান করেন। তারা চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের ২১ রান দূরে গিয়ে থামতে হয় তাঁদের। স্পোর্টিংয়ের হয়ে সৌরভ মণ্ডল ৪ টি উইকেট নিয়ে বিপক্ষের জয়ের আশায় জল ঢেলে দেন।
এদিন ম্যাচের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে রজত জয়ন্তী বর্ষের ফাইনালের সূচনা করেন ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ সহ ক্লাব কর্তারা। পরে ম্যাচের শেষে উপস্থিত হন প্রতিযোগিতার চিফ প্যাট্রন তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। ছিলেন শিলিগুড়ি থানার আইসি বিকাশ কান্তি দে সহ ক্লাবের সদস্যরা। প্রতিযোগিতার সম্পাদক জ্ঞানময় ঘোষ প্রতিযোগিতার সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রাপকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী সহ অন্যান্যার।
ফাইনালের সেরা- প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় (স্পোর্টিং ইউনিয়ন)
প্রতিযোগিতার সেরা- সুরজিত যাদব (স্পোর্টিং ইউনিয়ন)
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক- অনুপ বারিক (সরোজিনী সঙ্ঘ)
প্রতিযোগিতার সেরা ফিল্ডার-কৌশিক ঘোষ (সরোজিনী সঙ্ঘ)
সেরা উইকেট সংগ্রাহক- রাজকুমার রায় (বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাব) ও চন্দন মণ্ডল (সরোজিনী সঙ্ঘ)
প্রতিযোগিতার সেরা উইকেট রক্ষক- জাভেদ আলম (বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাব)
প্রতিযোগিতার একমাত্র সেঞ্চুরি -আশরফ খান (বিবেকানন্দ ক্লাব)
ফেয়ার প্লে ট্রফি- বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাব।