প্রায় এক মাস ধরে উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিএসএনএল মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। সপ্তাহ দু’য়েক আগে পরিষেবার হাল ছিল খুবই খারাপ। সম্প্রতি তার খানিকটা উন্নতি হলেও সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি বলেই জানাচ্ছেন গ্রাহকদের একাংশ।
মোবাইল পরিষেবা ব্যাহত হয়ে পড়ায় প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনায় সমস্যায় পড়ছেন আধিকারিকেরা। সম্প্রতি, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক স্মিতা পাণ্ডে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করার অনুরোধ করেন। জেলাশাসক বলেন, “কিছুদিন ধরেই বিএসএনএল মোবাইলে ফোন ঠিকমত আসছে না। নেটওয়ার্কের পরিষেবার মধ্যে থাকলেও কেউ ফোন করলে আমার নম্বরটি পরিষেবার বাইরে বলা হচ্ছে। বিএসএনএল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করার অনুরোধ করেছি। প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে।”
বিএসএনএলের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের জেনারেল ম্যানেজার মিহির কুম্ভকার বলেন, “মাঝেমধ্যে রাস্তা তৈরি বা বিদ্যুতের লাইন মেরামতের সময়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার মাটির নীচে থাকা বিএসএনএলের কেবল কেটে যায়। সেই কারণে পরিষেবা ব্যাহত হয়। আমরা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার সব রকম চেষ্টা করছি।”
জেলায় বিএসএনএলের গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ। ৫০ হাজারের বেশি ইন্টারনেটের সংযোগ রয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই কথা বলতে বলতে ফোন কেটে যাচ্ছে। অনেক সময়ে ফোন ধরেও অপর প্রান্ত থেকে কিছু শোনা যাচ্ছে না। ইন্টারনেট পরিষেবারও একই হাল। সহজে ইন্টারনেট সংযোগ মিলছে না। সংযোগ পেলেও কিছুক্ষণ পর তা কেটে যাচ্ছে। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ি জানান, বিএসএনএলের মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা মাঝেমধ্যে বিঘ্নিত হওয়ার ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান তাঁরা।
বৃদ্ধার অপমৃত্যু। র্কীতনে যোগ দিয়ে এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে হেমতাবাদের গুটিন এলাকার ঘটনা। মৃতার নাম কালো সরকার (৪৫)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশুমন্ডি থানার দেহট এলাকায়। রবিবার একটি কীর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন কালোদেবী। দুপুরে প্রসাদ খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।