পরিবারের সঙ্গে শঙ্কর দাস।—নিজস্ব চিত্র।
হাটে সব্জি বিক্রি করতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি ফালাকাটা ব্লকের গুয়াবরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলনগর গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর দাস। বাইশ বছর আগের সেই ঘটনার পরে বাড়ির লোক অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আর তার সন্ধান পাননি। রবিবার বিকেলে আচমকা সেই শঙ্করবাবুই ফিরে এলেন তাঁর গ্রামের বাড়িতে। যখন নিখোঁজ হন তখন তাঁর বয়স ছিল তিরিশ। এখন তিনি প্রৌঢ়। তখন তাঁর দুই মেয়ে এক ছেলে ছিল এবং স্ত্রী তখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সেই সন্তানের জন্ম হয়েছে। তারা সকলেই এখন বড় হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী বলেন, “স্বামী বেঁচে রয়েছেন বলেই বিশ্বাস করতাম। সেই বিশ্বাসই সত্য হল।”
কী হয়েছিল শঙ্করবাবুর?
এ দিন বাড়ির সামনে ভিড়ের মধ্যে শঙ্করবাবু দাবি করলেন, কী করে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান, তা তাঁর মনে নেই। অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। জ্ঞান ফেরার পরে দেখেন, তিনি একটি অচেনা জায়গায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন। পরে বুঝতে পারেন গুজরাতের আমদাবাদে রয়েছেন। সেখানে একটি ঠিকাদার সংস্থায় শ্রমিকের কাজও পেয়ে যান। শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে এখন তিনি ওই সংস্থার সুপারভাইজার। বাড়ির কথা পুরো ভুলে গিয়েছিলেন বলে তাঁর দাবি।
তারপরে হঠাত্ একদিন তাঁর ফালাকাটার গ্রামের বাড়ির কথা মনে পড়ে যায়। তাঁর সংস্থাটিও উত্তর দিনাজপুরে একটি সেতু তৈরির বরাত পায়। তিনিও উত্তরবঙ্গে আসেন। শঙ্করবাবু বলেন, “তারপরে গ্রামে চলে আসি। এরপর আমদাবাদের পাট চুকিয়ে এখানেই থাকব।”