ফুলহারে ডুবে মৃত্যু দিদির, নিখোঁজ বোন

দিল্লি থেকে বেড়াতে এসে ফুলহারে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল দুই বোন। মালদহের মানিকচকের শঙ্করটোলা ঘাটে শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। বিকেলে ওই ঘাটের কাছে কাদায় আটকে থাকা দিদির দেহ উদ্ধার হলেও রাত পর্যন্ত বোনের হদিশ মেলেনি। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম ববিতা মণ্ডল (১৮)। নিখোঁজ বোনের নাম কবিতা মণ্ডল। তার বয়স ষোলো। কবিতা সাঁতার জানত না বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৫১
Share:

দুই বোনের শোকার্ত পরিজনেরা। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।

দিল্লি থেকে বেড়াতে এসে ফুলহারে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল দুই বোন। মালদহের মানিকচকের শঙ্করটোলা ঘাটে শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। বিকেলে ওই ঘাটের কাছে কাদায় আটকে থাকা দিদির দেহ উদ্ধার হলেও রাত পর্যন্ত বোনের হদিশ মেলেনি। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম ববিতা মণ্ডল (১৮)। নিখোঁজ বোনের নাম কবিতা মণ্ডল। তার বয়স ষোলো। কবিতা সাঁতার জানত না বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুই মেয়েকে পরিচিতের বাড়িতে বেড়াতে এসে এই ঘটনায় শোকে হতবাক হয়ে পড়েছেন বাবা শম্ভু মণ্ডল ও মা ডলিদেবী।

Advertisement

মানিকচক থানার ওসি আশুতোষ পাল বলেন, “ফুলহারে তলিয়ে যাওয়া দুই বোনের মধ্যে দিদির দেহ উদ্ধার হয়েছে। রাত পর্যন্ত নিখোঁজ বোনের সন্ধান মেলেনি। রবিবার সকালে ফের তল্লাশি চালানো হবে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবার নেপালের লৌকি এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। যদিও, কাজের সূত্রে শম্ভু মণ্ডল পরিবার নিয়ে দিল্লিতে থাকেন। সেখানেই রিকশা চালান তিনি। মা ডলিদেবীর মতোই দুই বোন ববিতা ও কবিতাও পরিচারিকার কাজ করতেন। দিল্লিতে একই এলাকায় থাকেন মানিকচকের শঙ্করটোলা এলাকার মধু মণ্ডল। সেই সুবাদেই দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Advertisement

গত সোমবার বাবা-মায়ের সঙ্গে শঙ্করটোলা এলাকায় মধুবাবুর বাড়িতে ঘুরতে আসে দুই বোন। রবিবার তাদের দিল্লি ফেরার কথা ছিল। ট্রেনের টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। মধুবাবুর বাড়ির পাশেই ফুলহার নদীর শঙ্গরটোলা ঘাট। এদিন দুপুরে কয়েকজনের সঙ্গে ফুলহারে স্নান করতে নামে দুই বোন। কয়েকদিন ধরেই এলাকা জুড়ে হাওয়ার দাপট চলছে। ফলে নদীতে স্রোতও ছিল বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। দুই বোনের কেউই সাঁতার জানত না বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। স্নানের সময় আচমকাই দুই বোন তলিয়ে যায় বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন। নদীতে স্রোত থাকায় উদ্ধার কাজও ব্যহত হয় বলে অভিযোগ।

তাঁর বাড়িতে বেড়াতে এসে ওই ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন মধুবাবু। তিনি বলেন, “যে কয়েকদিন এখানে ছিল প্রতিদিন ওরা নদীতে স্নান করত। আমার বাড়িতে এসে যা ঘটল তাতে নিজেকে কখনও ক্ষমা করতে পারব না।” বড় মেয়ের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই মাঝেমধ্যে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলছেন মা ডলিদেবী। বাবা শম্ভুবাবু অস্ফুট স্বরে বললেন, “বেড়াতে এসে দুই মেয়েকে এ ভাবে হারাতে হবে ভাবিনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement