ফের ভাসল মালদহের ২৫টি ওয়ার্ড

বেহাল নিকাশির ব্যবস্থার জেরে ফের জলমগ্ন মালদহ। মঙ্গলবার বিকেল চারটে থেকে আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে মালদহের শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের লক্ষাধিক মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েন। ইংরেজবাজার পুরসভার অধীন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও জল জমেছে। এতে প্রায় ৭০০ রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন বিপাকে পড়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিচতলায় জল ঢুকে পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৪ ০২:০৮
Share:

বেহাল নিকাশির ব্যবস্থার জেরে ফের জলমগ্ন মালদহ। মঙ্গলবার বিকেল চারটে থেকে আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে মালদহের শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের লক্ষাধিক মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েন। ইংরেজবাজার পুরসভার অধীন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও জল জমেছে। এতে প্রায় ৭০০ রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন বিপাকে পড়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিচতলায় জল ঢুকে পড়েছে। তড়িঘড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ নীচতলার ওয়ার্ডের রোগীদের দোতলায় তুলেছেন। হাসপাতালের সুপার মহম্মদ আবদুর রসিদ বলেন, “মেডিক্যাল কলেজে জল ঢুকে পড়েছে। আমাদের সাধ্যমত ব্যবস্থা নিচ্ছি।” গত শনিবারও জলমগ্ন হয়েছিল মালদহ শহরের একাধিক এলাকা। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ওই দিন জাতীয় সড়ক অবরোধও করেন।

Advertisement

এ দিন বৃষ্টির জলে তিন নম্বর কলোনী, পিরোজপুর, সবর্মঙ্গলাপল্লি, প্রান্তপল্লি, কৃষ্ণকালিতলা, রামকৃষ্ণপল্লি, সুভাষপল্লি, বালুচর, সদর ঘাট এলাকায় কোথাও কোমর জল, কোথাও হাঁটুজল জমে গিয়েছে। বহু বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। মাত্র কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে শহরের ২৫টি ওয়ার্ড কমবেশি বৃষ্টির জল জমে যাওয়ায় শহরের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন ইংরোজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা শুভদীপ সান্যাল। তিনি বলেন। “দিনের পর দিন শহর বাড়ছে, অথচ শহরের নিকাশি ব্যবস্থার দিকে চেয়ারম্যানের নজর নেই। তার ফল শহরের মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।”

তিনি জানান, বর্ষার সময় নর্দমা তৈরি করা হচ্ছে। এথন নর্দমা পরিস্কার হচ্ছে। আগে সামান্য বৃষ্টি হলে নীচু এলাকায় জল জমতো। এখন সমস্ত এলাকাতেই জল জমছে। তাঁর কথায়, “গত ২৫ জুন রাতে তিনঘণ্টা বৃষ্টিতে গোটা শহর ডুবে গিয়েছিল। এ দিনও ফের আড়াই ঘণ্টা বৃষ্টিতে শহর ডুবে গেল। পুরসভার জন্য শহর কার্যত একেবারে সুইমিং পুলে পরিণত হয়েছে।” পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আরএসপি কাউন্সিলার শিপ্রা রায় বলেন, “আমার বাড়ির নীচতলায় জল ঢুকে পড়ছে। সামনে এক কোমর জল। এরকম কোনও দিন হয়নি।”

Advertisement

বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “প্রবল বৃষ্টিতে শহরে জল জমে গিয়েছে। আমরা নজরদারি শুরু করেছি। সমস্ত নর্দমার মুখগুলি খোলা হচ্ছে। বৃষ্টি কমলেই জল নেমে যাবে বলে আশা করছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement