লাইসেন্স নবীকরণের আশ্বাস মেলায় বাস ধর্মঘট তুলে নিলেন মালদহের বাসচালকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন নিত্যযাত্রীরা।
শ্রমিক সংগঠনের দাবি মেনেই জেলা প্রশাসন বাস চালকদের লাইসেন্স নবীকরণ করার আশ্বাস দেয়। জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, বাসচালকদের এইচপিএমভি (হেভি পারসন মোটর ভেইকেল) লাইসেন্স নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা মিটে গিয়েছে। যে সমস্ত বাসের চালকরা তাদের এইচপিএমভি লাইসেন্স নবীকরণ করতে দিয়েছিলেন, খুব দ্রুত তা করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি জেলার আরটিও থেকে নির্দেশিকা জারি হয়, বাসচালকদের এইচপিএমভি নবীকরণ করার সময়, কোন মোটর ট্রেনিং স্কুল থেকে চালক বাস চালানোর সার্টিফিকেট পেয়েছেন তার নাম এবং যে বাসে চালানোর ট্রেনিং হয়েছে সেই বাসের নম্বর দিয়ে আবেদন করলে তবেই লাইসেন্স নবীকরণ করা হবে। কিন্তু মালদহে কোনও মোটর ট্রেনিং স্কুলেই বাস নেই। ফলে সার্টিফিকেট নিয়ে চরম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। বিপাকে পড়ে যান বাস চালকেরা। কারণ এই নতুন নিয়মের জেরে আবেদন করার পরেও ২৫ থেকে ৩০ জন বাস চালকের লাইসেন্স নবীকরণ আটকে যায়। এদিকে চালকদের লাইসেন্স নবীকরন না হওয়ার ফলে তাঁরা বাস চালাতে না পারায় বন্ধ হয়ে যায় ২০ থেকে ২৫টি বাস। এরপরই সিটু , ইউটিইসি সহ-অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের সদস্য বাসচালকেরা এই নিয়ম প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার থেকে জেলা জুড়ে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এই বাস ধমর্ঘটে সামিল হয় তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনও। আর এতেই বিপাকে পড়ে যায় জেলা প্রশাসন। তড়িঘড়ি রাতের মধ্যেই সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে জেলাপ্রশাসনের কতার্রা বৈঠকে বসেন। বাস চালকদের লাইসেন্স নবীকরণের আশ্বাস দেন তাঁরা। এরপরই বাস ধর্মঘট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
সিটু অনুমোদিত মালদহ জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, “জেলা প্রশাসন সমস্ত বাস চালকদের লাইসেন্স নবীকরণের আশ্বাস দিয়েছে। এর জন্য মোটর ট্রেনিং স্কুলের বাস চালানোর সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রশাসনের আশ্বাস পাওয়ার পরই আমরা বাস ধর্মঘট তুলে নিয়েছি।” ইউটিইইসি অনুমোদিত মালদহ মোটর এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক মহম্মদ কাইসুদ্দিন বলেন, প্রশাসন তাঁদের দাবি মেনে বাসচালকদের লাইসেন্স নবীকরণে রাজি হওয়ায় বাস ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন তাঁরা।