পুরপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে তৃণমূলের বিবাদ প্রকাশ্যে

পুরপ্রধানের মৃত্যুর পরে অস্থায়ী চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের বিবাদ প্রকাশ্যে এল। বৃহস্পতিবার অস্থায়ী চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব বুঝে নিতে গিয়ে অস্থায়ী কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন কোচবিহার পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন আমিনা আহমেদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৪ ০২:৪২
Share:

কোচবিহার পুরসভা চত্বরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

পুরপ্রধানের মৃত্যুর পরে অস্থায়ী চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের বিবাদ প্রকাশ্যে এল। বৃহস্পতিবার অস্থায়ী চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব বুঝে নিতে গিয়ে অস্থায়ী কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন কোচবিহার পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন আমিনা আহমেদ।

Advertisement

এ দিনের ঘটনার পরে প্রয়াত পুর চেয়ারম্যানের ছায়াসঙ্গী হিসাবে দলের অন্দরে পরিচিত তৃণমূল কাউন্সিলর দীপক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, “১৯ সদস্যের পুরবোর্ডে দলের বর্তমান ১৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ন’জন আমাকে কার্যনিবাহী চেয়ারম্যান করার জন্য আবেদন জানিয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছিলেন। শোকের আবহে থাকায় আমরা এ সব নিয়ে খোঁজখবর করিনি। তার মধ্যেই আমিনা আহমেদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন বলে প্রচার হয়ে যাওয়ায় শোকার্ত কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।”

এ দিন দুপুরে কোচবিহার পুরসভা চত্বরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। পরে আমিনা আহমেদ বলেন, “সরকারি নির্দেশিকা মেনে পুরসভা সচল রাখতে অস্থায়ী ভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে গিয়েছিলাম। দফতরে ঢোকার মুখে কিছু অস্থায়ী কর্মী আমি দায়িত্ব নিলে তাঁদের কাজ হারানোর আশঙ্কার কথা বলে জমায়েত করেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে একটি চক্র ওই ভুল বার্তা দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।” তবে উত্তেজনা প্রশমিত হলে অস্থায়ীভাবে পুর চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি।

Advertisement

মঙ্গলবার ভোররাতে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোচবিহার পুরসভায় প্রায় দু-দশক চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা বীরেন কুণ্ডুু প্রয়াত হন। বুধবার কোচবিহারে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বীরেনবাবুর মৃত্যুতে শোকের আবহে পরপর দু’দিন কোচবিহারের জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। তারপরে এ দিন দুপুরে কোচবিহার পুরসভার কার্যনিবাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে গিয়েছিলেন আমিনা॥

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা আমিনা আহমেদের স্বামী আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, “পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে গোলমালের চেষ্টা হয়।” কোচবিহারের সদরের মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা জানান, নিয়ম অনুযায়ী এই পরিস্থিতিতে ভাইস চেয়ারপার্সন কাজ চালাবেন। কিন্তু ২৭ অগস্টের মধ্যে বোর্ড মিটিং ডেকে স্থায়ী চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement