আলাদা রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লিতে নয় দিনের ধর্না ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করবেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা। সোমবার দার্জিলিঙের গোর্খা রঙ্গমঞ্চে দলের একটি বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পর মোর্চার সহকারী সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ জানান, দিল্লির নয় দিনের ধর্না কর্মসূচি নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। গোর্খাল্যান্ডের দাবির কথা বিজেপি’র লোকসভা ভোটের ইস্তাহারে ছিল। আমাদের তা নিয়ে আশ্বাসও দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভোটের প্রচারে শিলিগুড়িতে এসে গোর্খাদের এই স্বপ্ন তাঁর স্বপ্ন বলেও উল্লেখ করেছিলেন। এখন আমরা ওই স্বপ্নকে যাতে বাস্তবায়িত করা হয়, তা দেখতে চাই।
বিনয় তামাঙ্গ জানান, দিল্লিতে এখন বাজেট অধিবেশন চলছে। তাই ধর্নার সঙ্গেই দলের প্রতিনিধিরা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করবেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করব। একমাত্র গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রতিনিধি দলের কারা থাকবেন তা ঠিক করা হচ্ছে। ধর্নার আগেই সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আমরা প্রধানমন্ত্রী থেকে নেতা, মন্ত্রীদের সময়ের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি।
মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, পাহাড়ের তিন মহকুমার পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, বিদ্যার্থী মোর্চার সদস্যরা ছাড়াও জিটিএ সদস্যদের অধিকাংশই ধর্নায় অংশ নেবেন। পাহাড়ের তিন বিধায়ক ছাড়াও দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ ইউনিটের সদস্যরাও থাকবেন। মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গও দিল্লিতে থাকবেন। তবে নয়দিনই তিনি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন কি না তা এখনও ঠিক হয়নি।
এর আগে মোর্চার তরফে যন্ত্রর মন্ত্রর আলাদা রাজ্যের দাবিতে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর ধর্না কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া তালকোটরা স্টেডিয়ামে ২০ ডিসেম্বর সভার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের অনুরোধে কর্মসূতি স্থগিত রাখা হয়। ওই মাসই অবশ্য মোর্চা সভাপতি আগামীতে ফের দিল্লিতে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে বলে ঘোষণাও করে দেন।