রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা মধুমিতা রায়কে ছুটি দিলেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। শনিবার দুপুরে মধুমিতাদেবীর চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা নার্সিংহোমের চিকিত্সক শান্তনু দাস তাঁকে ছুটি দেন। নার্সিংহোম সূত্রের খবর, মধুমিতাদেবীর অনুরোধে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি ছুটি লিখে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এর পর কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ মধুমিতাদেবীকে রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর এলাকায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেন। মধুমিতাদেবী বলেন, “নার্সিংহোমে থাকতে ভাল লাগছিল না। তাই বাড়িতে চলে এলাম। পুরোপুরি সুস্থ বোধ না করা পর্যন্ত কাজে যোগ দেব না।”
রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনার কাজে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন টিএমসিপির সমর্থকেরা। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে নিরপেক্ষ তদন্ত করে রিপোর্ট প্রকাশ না করা পর্যন্ত বোর্ড গঠন স্থগিত রাখার দাবিতে বেলা ১১টা থেকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়।
সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা মধুমিতাদেবী। পুলিশের হস্তক্ষেপে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ তাঁকে রায়গঞ্জের উকিলপাড়া এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। টিএমসিপি সমর্থকেরা অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে এরপর শুক্রবার টিএমসিপির অভিযোগ ও দাবিকে অগ্রাহ্য করে গত শুক্রবার নির্বিঘ্নেই ছাত্র সংসদের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করেন। ৪২টি আসনের মধ্যে ২৩টি আসনে জয়ী হয়ে এসএফআই বোর্ড গঠন করে। টিএমসিপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি অজয় সরকার বলেন, “আমাদের অবস্থান বিক্ষোভের জেরে মধুমিতাদেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে বিভিন্ন মহল থেকে গত দুদিন ধরে অপ্রপ্রচার চালানো হচ্ছিল। তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন।” মধুমিতাদেবী জানান, তিনি আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘সে জন্যই কলেজে ওইদিন টিএমসিপির দীর্ঘক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন তাঁদের দাবি পূরণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বুঝতে পেরে আরও অসুস্থ হয়ে যাই।”