নির্বাচনের বিধি ভাঙার নালিশ বিডিও-র নামে

বিডিও-র বিরুদ্ধেই নির্বাচনী বিধিভঙের অভিযোগ উঠল। তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ, তিনি বিধি ভেঙে গঙ্গার ফেরিঘাট তৃণমূলের একজন সক্রিয় কর্মীকে লিজ পাইয়ে দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনে এ অভিযোগ করেন ফেরিঘাটের প্রাক্তন লিজ হোল্ডার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৩৯
Share:

বিডিও-র বিরুদ্ধেই নির্বাচনী বিধিভঙের অভিযোগ উঠল। তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ, তিনি বিধি ভেঙে গঙ্গার ফেরিঘাট তৃণমূলের একজন সক্রিয় কর্মীকে লিজ পাইয়ে দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনে এ অভিযোগ করেন ফেরিঘাটের প্রাক্তন লিজ হোল্ডার। মঙ্গলবার অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই ফেরিঘাটের লিজ বাতিল করতে বিডিও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। মালদহের জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, “নির্বাচনের মধ্যে যে সমস্ত ফেরিঘাটের লিজের মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেখানকার লিজ হোল্ডারদের আগামী ১৬ মে পর্যন্ত কাজ চালাতে হবে বলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তার পরেও বিডিও কেন এমন কাজ করলেন স্পষ্ট নয়। লিজ বাতিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মানিকচকের ধরমপুর এলাকায় গঙ্গার রুস্তমপুর ঘাটটি ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর লিজ দেওয়া হয়। ২৩ হাজার ৪৩১ টাকায় প্রায় ৬ মাসের জন্য ঘাটের লিজ পান মিসবাউল হক নামে এক ব্যক্তি। ১৪ এপ্রিল তাঁর লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। প্রশাসনের সিদ্ধান্তমত আগামী ১৬ মে অবধি তাঁরই কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিডিও গত সোমবার এলাকার তৃণমূল কর্মী নাজির হোসেনকে ওই ঘাটের নতুন লিজ দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। ৮৬৬৭ টাকায় ১৫ জুন পর্যন্ত ওই ঘাটের লিজ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার সকালে ফেরিঘাটে গিয়ে নাজির হোসেন নিজেকে ঘাটের লিজ হোল্ডার বলে দাবি করেন। প্রশাসনিক নথি দেখিয়ে তিনি মিসবাউল হকের মাঝিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। পুরনো লিজ হোল্ডার মালদহে গিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। যদিও মানিকচকের বিডিও সাংগে তাসি ডুকপা দাবি করেন, “যিনি ঘাটে লিজদার ছিলেন তাঁর মেয়াদ ফুরিয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আর কাজ চালাতে পারবেন না। তাই কিছুদিনের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানাচ্ছি।”

Advertisement

যদিও মিসবাউল হক দাবি করেন, “বিডিও সঠিক কথা বলছেন না। অন্য এক জনকে যে লিজ দেওয়া হয়েছে তা এ দিন ঘাটেই প্রথম জানতে পারি। বিডিও-র সঙ্গে এই বিষয়ে আমার কোনও কথাই হয়নি।” নতুন যিনি লিজ পেয়েছিলেন সেই নাজির হোসেন বলেন, “১৪ এপ্রিল ওই ঘাটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর লিজ চেয়ে নিয়ম মেনে আবেদন করি। তার পর প্রশাসনের তরফে লিজ দেওয়া হয়। এতে আমার কী করার আছে।”

অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, নতুন লিজ বাতিল করে বিডিও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন দলের একাংশ। দলের ভাবমূর্তির স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে তাঁরা দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন। পরে তৃণমূলে জেলার সভানেত্রী তথা মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “এটা ঠিক হয়নি। লিজ বাতিল শুধু নয়, বিডিও-র বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা প্রয়োজন। আমরা প্রশাসনিক কর্তাদের সেটাই বলেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement