নিজ জমিতে বাড়ি গড়তে বাধা, নালিশ

এক পুরকর্মীকে নিজের জমিতে বাড়ি করতে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন হাতিয়াডাঙ্গা এলাকার ঘটনা। এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নামও জড়িয়ে গিয়েছে। অবিযোগকারীর নাম সুভাষ হেলা। তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, কংগ্রেস সমর্থক। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার আইএনটিইউসি অনুমোদিত শিলিগুড়ি পৌর কর্মচারী কংগ্রেসের তরফে একটি সংবাদিক বৈঠকে এই অভিযোগ তোলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৪ ০২:৪৩
Share:

এক পুরকর্মীকে নিজের জমিতে বাড়ি করতে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন হাতিয়াডাঙ্গা এলাকার ঘটনা। এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নামও জড়িয়ে গিয়েছে। অবিযোগকারীর নাম সুভাষ হেলা। তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, কংগ্রেস সমর্থক। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার আইএনটিইউসি অনুমোদিত শিলিগুড়ি পৌর কর্মচারী কংগ্রেসের তরফে একটি সংবাদিক বৈঠকে এই অভিযোগ তোলা হয়।

Advertisement

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইএনটিইউসির উত্তরবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরকার, পৌর কর্মচারী কংগ্রেসের সভাপতি সুবীন ভৌমিক, জেলা আইএনটিইউসির সদস্য শম্পা দাস প্রমুখ। সুবীনবাবুর অভিযোগ, “রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের নীচুতলার কর্মীরা জমি দখলের খেলায় নেমেছে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” এ ধরনের ঘটনা তাঁর জানা নেই বলে জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে আমি পুলিশকে বলেছি, এ ধরনের কোনও অপরাধে রাজনৈতিক রং না দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।”

জানা গিয়েছে, ২৫ বছর আগে ১৯৮৯ সালে ওই জমি কেনেন সুভাষবাবুর বাবা। তারপর তাঁদের এক আত্মীয় সেখানে অস্থায়ী ঘর করে থাকতেন। তিনি চলে যাওয়ার পরে ২০০৫ সাল থেকে জমিটি খালি রয়েছে। সেখানে ঘর ভেঙে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে দিয়েছিলেন তাঁরা। কিছুদিন আগে কে বা কারা প্রাচীরের দেওয়াল ভেঙে দেয়। ইঁটও চুরি করে নেয় বলে অভিযোগ। সুভাষবাবু অভিযোগ করেন, “ৃপঞ্চায়েত সদস্য জগদীশ বর্মনের মদতেই কিছু লোক আমাকে বাড়ি তৈরি করতে বাধা দিচ্ছে।” বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে ৃআদালতের নির্দেশ নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় এলাকায় ঢুকলে তাঁকে মারধরের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। যদিও জগদীশবাবুকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর ছেলে জানান, তিনি অসুস্থ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement