ভোট প্রচারের শুরুতেই বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল মালদহের তৃণমূলের দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে। একদিকে মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছে সিপিএম। মালদহে উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র রায়ের বিরুদ্ধে শব্দবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মালদহের জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী। তিনি বলেন, “অভিযোগ মিলেছে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। এর পরে কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে মালদহ কলেজে চলাকালীন মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়ে কলেজের হস্টেলে গিয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। হস্টেলে গিয়ে ছাত্রদের কাছে নিবার্চনী প্রচারও করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। এভাবে কলেজ চলাকালীন কলেজে ঢুকে কলেজ ছাত্রকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি সিপিএমের। সে জন্য নিবার্চনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও নিবার্চন কমিশনের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “খোঁজ নিচ্ছি। তার পরে যা বলার বলব।” এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ মালদহের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করাতে আমাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মালদহ কলেজের হস্টেলে নিয়ে গিয়েছিল। কোনও নিবার্চনী প্রচার করতে কলেজে যাইনি।”
সৌমিত্রবাবুর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। এ দিন হরিশ্চন্দ্রপুরের বামফ্রন্টের আহ্বায়ক স্বপন মণ্ডল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছেও একই অভিযোগ জানানো হয়েছে। বামফ্রন্টের অভিযোগ, মঙ্গলবার হরিশ্চন্দ্রপুরে আসার পর দলীয় নেতা-কর্মীরা তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল করেন। মিছিলের সামনে ছিল তাসা পার্টি। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মিছিল করে মাইকও বাজানো হয়। বুধবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তার তিনদিন আগে থেকেই মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। অথচ মিছিলের সামনে একটি ছোট গাড়িতে মাইক বেঁধে তা বাজানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র রায় দাবি করেন, তিনি াড়ি থেকে নেমেই মাইক বাজানো বন্ধ করে দিতে বলেছিলেন। তিনি বলেন, “বড় জোর দু’মিনিট মাইক বেজেছিল। আমি দলীয় কর্মীদের সাফ বলেছি যে নির্বাচন বিধি যেন কখনও ভঙ্গ না হয়।”