এভারেস্টজয়ীর বাড়িতে গেলেন বিজেপি প্রার্থী।—নিজস্ব চিত্র।
এভারেস্ট জয়ী তেনজিং নোরগের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া। দার্জিলিঙের ডিবি গিরি রোডের বাড়িতে তেনজিং নোরগের ছেলে জামলিঙের সঙ্গেও র্দীঘক্ষণ আলোচনা করেছেন অহলুওয়ালিয়া। ১৯৫৩ সালে এভারেস্ট জয় করা তেনজিং নোরগেকে ‘ভারত রত্ন’ দেওয়া উচিৎ ছিল বলেও এ দিন তিনি অভিযোগ করেছেন।
তাঁর আশ্বাস, প্রয়াত পর্বতারোহীকে যোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য তিনি উদ্যোগী হবেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাহাড়ের শেরপা সম্প্রদায়ের সমর্থন পেতেই অহলুওয়ালিয়ার এই পদক্ষেপ। দার্জিলিঙের তিন মহককুমায় অন্তত ১ লক্ষ ৪০ হাজার শেরপা সম্প্রদায়ের বাসিন্দা রয়েছেন। ইউনাইটেড শেরপা অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দীর্ঘদিন ধরেই নোরগেকে ভারত রত্ন দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। সে কারণেই এ দিন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি তথা রাজ্য সভার প্রাক্তন সাংসদ অভিযোগ করেছেন, বিদেশে নোরগেকে সর্বোচ্চ সম্মান এবং পদক দেওয়া হলেও, নিজের দেশে তাকে শুধু পদ্মভূষন দেওয়া হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ভারত রত্ন থেকে তাঁকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করে, ভোটের আগে অনান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে বিঁধতে বিজেপির প্রার্থীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার যেমন নিজে থেকে কোনও উদ্যোগ নেয়নি, তেমনিই রাজ্য সরকারও এ বিষয়ে কেন্দ্রকে কোনও প্রস্তাব পাঠায়নি।
এ দিন নোরগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গেই পর্বতারোহীর পাওয়া বিভিন্ন পদকও দেখেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আজকের দিনেই ভগৎ সিংহ, রাজগুরু এবং সুখদেবকে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হয়েছিল। তাঁদের পরিবারে গিয়ে সম্মান জানাতে পারলাম না ঠিকই, তবে দেশকে গর্বিত করেছে এমন একটি পরিবারে এ দিন সম্মান জানাতে এসেছি। স্বাধীনতার পরে দেশকে তেনজিং নোরগে গর্বিত করেছিলেন। অথচ তাঁকে বারত রত্ন দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অনেক দলই ক্রীড়াবিদদের ভোটে দাঁনানোর টিকিট দেয়, কিন্তু তাদের আগে যারা দেশকে গর্বিত করেছে, তাঁদের মর্যাদা দেওয়া হয় না।”
তেনজিং পুত্র জামলিং বলেন, “বাবাকে ভারত রত্ন দেওয়ায় উদ্যোগী হবেন বলে বিজেপি প্রার্থী আশ্বাস দিয়েছেন। এই আশ্বাস পূরণ হলে, শুধু আমাদের পরিবারই নয়, সমগ্র দার্জিলিঙের বাসিন্দারা গর্বিত হবেন।” যদিও তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এন ডি খাওয়াস বলেন, “এর আগেও তো বিজেপির সরকার ছিল, তখন কেন ওদের এই কথা মনে পড়ল না। ভোটের জন্য সঙ্কীর্ণ রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি।”