তিন বছর পরে ফের পর্যটকদের অপেক্ষায় নতুন চেহারায় সেজে ওঠা ‘আরণ্যক’। সবুজে মোড়া লোলেগাঁওয়ে ‘আরণ্যক’এ রাত্রিবাসের আকর্ষনে ভিড় জমাতেন পর্যটকরা।
এই পর্যটক আবাসের নতুন নির্মাণ, সংস্কার,ও সৌন্দর্যায়নের কাজ ইতিমধ্যে প্রায় সম্পূর্ণ। ১৮ জানুয়ারি নতুন করে ওই পর্যটক আবাসের উদ্বোধন করবেন বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি জানান, লোলেগাঁওয়ের পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে একাধিক পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে।
বন উন্নয়ন নিগম সূত্রের খবর, পর্যটক আবাস হিসাবে পাহাড়ে ‘আরণ্যক’ এর পরিচিতি বহুদিনের। ২০১১ সালে গোর্খাল্যান্ডের দাবি ঘিরে আন্দোলনে উত্তপ্ত পাহাড়ে বেশ কিছু বনবাংলো, ও পর্যটক আবাস আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই তালিকায় ছিল লোলেগাঁওয়ের ‘আরণ্যক’ও। বন উন্নয়ন নিগমের ক্ষতিগ্রস্থ ওই পর্যটক আবাসটি প্রায় ছ’কোটি টাকা খরচ করে নতুন করে তৈরি হয়েছে। বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “১৮ জানুয়ারি, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিন থেকেই সেটি পর্যটকদের রাত্রিবাসের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই এলাকায় পর্যটন বিকাশে অন্য কি কি পরিকল্পনা নেওয়া যায় তাও সরেজমিনে দেখব।”
লোলেগাঁওয়ের ওই পর্যটক আবাসটিতে আগে দুটি থাকার ঘর ছিল। দিনে কুয়াশা ঢাকা পাহাড়, ছবির মত সাজানো সবুজ পাহাড়ি গ্রাম আর রাতে আলো ঝলমলে কালিম্পং শহর দেখার টানেই পর্যটক মহলে‘আরণ্যক’ এর চাহিদা ছিল তুঙ্গে। বেসরকারি উদ্যোগে কয়েকটি থাকার জায়গা থাকলেও, ‘আরণ্যকের’ টান ছিল অন্যরকম। বন উন্নয়ন নিগমের কালিম্পং শাখার ম্যানেজার সমীর গজমের বলেন, “আরণ্যক এখন অনেক বেশি আকর্ষণীয়। তিনটি নজরকাড়া স্যুইট চালু হচ্ছে। অন্যান্য পরিষেবাও পাবেন পর্যটকরা।অনলাইন বুকিং চালু হলেই পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে বলে আমাদের আশা।”