পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে আন্দোলনরত বিজেপি সমর্থকদের উপরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগকে ঘিরে শনিবার উত্তপ্ত হল মেখলিগঞ্জ। একই দিনে ফরওয়ার্ড ব্লকের জোনাল পার্টি অফিসেও হামলার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিজেপির অভিযোগ, ওই ব্লকের উছলপুখুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে বেশ কিছু বাসিন্দা বিজেপিতে যোগ দেন। ওই সমর্থকদের উপরে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কয়েকজনকে মারধরের পাশাপাশি উছলপুখুরি বাজারে তিন বিজেপি সমর্থকের দোকান ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ওই বাজারে তৃণমূল সমর্থকদের দশটি দোকান বিজেপি ভেঙে দেয়। তা নিয়ে দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ জানায়। শুক্রবার রাতে পুলিশ ওই এলাকায় হানা দিয়ে বিজেপি নেতা নির্মল রায়কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির প্রতিবাদে শনিবার মেখলিগঞ্জে বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি। থানার সামনে অবস্থান ক’রে মিছিলও বের করে বিজেপি। সে সময় তৃণমূলও একটি মিছিল বের করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, “তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারধর করছে আবার তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আমাদের নেতাকে গ্রেফতার করছে। অথচ অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন।” তৃণমূলের নেতা লক্ষ্মীকান্ত সরকার পাল্টা বলেন, “ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিএমের কর্মীরা বিজেপিতে ঢুকে আমাদের কর্মীদের মারধর করছে। সেটা সকলেই জানেন। এদিন বিজেপি বন্ধ করার চেষ্টা করলে সাধারণ বাসিন্দারাই প্রতিবাদ করেন। তৃণমূলের কোনও ভূমিকা ছিল না।”
ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক পরেশ অধিকারীর অভিযোগ, বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই গোলমালের জেরে মহকুমায় অশান্তি ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, “তৃণমূল সমর্থকরা এদিন ফরওয়ার্ড ব্লক পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। পুলিশকে সব জানানো হয়েছে।” এই ঘটনায় তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া কর্মীরা ওই পার্টি অফিস দখল করার চেষ্টা করে। তৃণমূলের কোনও কর্মী-সমর্থক ঘটনায় জড়িত নন। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”