টাকা লেনদেন নিয়ে বিবাদ, মালদহে সংঘর্ষে জখম তিন

টাকার লেনদেন নিয়ে বিবাদের জেরে দুই পরিবারের সংঘর্ষে এক মহিলা-সহ তিন জন জখম হয়েছেন। ঘটনায় দু’পক্ষই গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এক গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:০০
Share:

টাকার লেনদেন নিয়ে বিবাদের জেরে দুই পরিবারের সংঘর্ষে এক মহিলা-সহ তিন জন জখম হয়েছেন। ঘটনায় দু’পক্ষই গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এক গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, এক মহিলা সহ দু’জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম দুলাল শেখ। তিনি বলেন, “ঘর থেকে বের হলে একটি গুলি আমার বাঁ পায়ে লাগে। কে গুলি চালিয়েছে আমি দেখতে পাইনি।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বকেয়া টাকার লেনদেন নিয়ে আনারুল শেখ ও তাঁর খুড়তুতো ভাই নুহুন শেখের মধ্যে প্রায়ই গোলমাল লেগে থাকত। এ দিন সকালে ফের তাঁরা বচসায় জড়িয়ে পড়ে। দু’পক্ষই একে অপরকে লক্ষ করে ইট ছুড়তে থাকে। গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। ইটের আঘাতে জখম হন আনারুল ও তাঁর দিদি রেজিয়া বেগম। মাথায় আঘাত লাগে নুহুনের ভাই হান্নান শেখেরও। তাদের ছোড়া গুলিতে জখম হন দুলাল শেখ নামে এক গ্রামবাসী। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে মিল্কি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় এদের মধ্যে দু’জনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়॥

আনারুলের পরিবারের অভিযোগ, বছর খানেক আগে কেরোসিন তেলের ব্যবসা করার জন্য আনারুলের কাছে দশ হাজার টাকা ধার নেন নুহুন। সেই টাকা ফেরত চাইলেই তাঁদের কটূক্তি করা হত। অভিযোগ, এ দিনও নুহুন ও তাঁর পরিবারের লোকজন আনারুলের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। নুহুনের পরিবার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান সামায়ুন শেখ বলেন, “দুই আত্মীয়ের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে বিবাদ চলছেই। এ দিনও তাঁদের হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement