প্রস্তাবিত ডিপোর জমি। ছবি: সন্দীপ পাল।
কেন্দ্রীয় সরকারের জহরলাল নেহরু আর্বান রিনিউয়াল মিশন থেকে পাওয়া অত্যাধুনিক বাসের সংখ্যা বাড়তেই জলপাইগুড়ি ডিপোকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি)। নিগম সূত্রের খবর, নতুন বাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গড়ে তোলা হবে আধুনিক ওয়ার্কশপ। এজন্য প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা খরচ হবে। আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ডিপোর দখল হয়ে যাওয়া কিছু জমিও উদ্ধার করা হয়। সেখানেই নতুন পরিকাঠামো গড়া হবে। ওই এলাকায় শিবমন্দির তৈরি করে জমি দখল করার অভিযোগ ওঠে। এদিন পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওই জমি পুনরুদ্ধার করেন নিগমের কর্তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জমির দখল নিতে গেলে তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীদের একাংশ নিগম কর্তাদের বাধা দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা নিগমের বোর্ড সদস্য বিউটি সেনও। বিষয়টি দলের উচ্চ পর্যায়ে জানানোর সিদ্ধান্তের পরেই পিছু হটে ওই তৃণমূল কর্মীরা।
সংস্থার বোর্ড সদস্য বিউটিদেবী বলেন, “প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জলপাইগুড়ি শহরের আদল অনেকটাই পাল্টে যাবে। সড়ক পথে সরকারি বাসের পরিষেবা উন্নত হবে। আর জমি নিয়ে যা সমস্যা ছিল তা মিটে গিয়েছে।’’
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে জলপাইগুড়ি ডিপো থেকে বিভিন্ন রুটে মোট ৩৫টি মিশনের অত্যাধুনিক বাস চলাচল করবে। ইতিমধ্যে ১২টি বাস বিভিন্ন রুটে চলছে। আরও ১৭টি বাস শিলিগুড়িতে পৌঁছে গিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলি ডিপোতে ঢুকবে। বাসের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে মিশনের শর্ত মেনে ওয়ার্কশপ, ওয়াশিং সিস্টেম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এনবিএসটিসি’র কর্তারা জানান, নতুন বাস চালু হওয়ার পরে জলপাইগুড়ি ডিপোতে বাসের দুটি আলাদা পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একটিতে মিশনের বাস, অন্যটিতে সাধারণ বাস। ডিপো থেকে বিভিন্ন রুটে ৩০টি বাস চলাচল করবে। কিন্তু একই চত্বরে দুটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গিয়ে জায়গার সমস্যা দেখা দেয়। সেই দিকে খেয়াল রেখেই এদিন জমি উদ্ধার করা হয়। জলপাইগুড়ির ডিপো ইনচার্জ স্বপন সেন বলেন, “মিশনের বাসের জন্য পৃথক তিনতলার অফিস গড়া হবে। আরও কিছু কাজ হবে। দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে।”
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি রাত নটা পর্যন্ত দশ মিনিট অন্তর বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এখন ওই রুটে চলছে ১৪টি বাস। কয়েকদিনের মধ্যে সংখ্যাটি বেড়ে হবে ২০টি। জলপাইগুড়ি-মালবাজার রুটে বর্তমানে দুটি বাস চলছে। সেখানে আটটি বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। জলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি রুটে চলবে ৫টি বাস এবং জলপাইগুড়ি-চাউলহাটি রুটে দুটি বাস চলবে।