জেলা হতেই ব্লক ভাঙার দাবি

নতুন জেলা ঘোষণার পরে মুখ্যমন্ত্রীর আলিপুরদুয়ার সফরের দু’দিন আগেই ময়নাগুড়ি ব্লক বিভাজনের দাবি তুলল ফরওয়ার্ড ব্লক। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য রাজগঞ্জ, ধূপগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি সদর ব্লক বিভাজনের দাবিও উঠেছে। সোমবার ফব-র জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেন। ২৫ জুন আলিপুরদুয়ারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৪ ০৪:৫৩
Share:

নতুন জেলা ঘোষণার পরে মুখ্যমন্ত্রীর আলিপুরদুয়ার সফরের দু’দিন আগেই ময়নাগুড়ি ব্লক বিভাজনের দাবি তুলল ফরওয়ার্ড ব্লক। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য রাজগঞ্জ, ধূপগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি সদর ব্লক বিভাজনের দাবিও উঠেছে। সোমবার ফব-র জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেন। ২৫ জুন আলিপুরদুয়ারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব এ দিন প্রশাসনের কর্তাদের জানান, প্রশাসনিক কাজ ও সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ৬৩১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ময়নাগুড়ি ব্লক ভাগ করে ময়নাগুড়ি-১ এবং ময়নাগুড়ি-২ নামে দুটি ব্লক গঠন করা প্রয়োজন। উন্নত পরিষেবার জন্য ময়নাগুড়ি-১ ব্লকের শহরাঞ্চল নিয়ে পুরসভা গঠন করতে হবে। একই ভাবে ৪৯৪.৫৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের জলপাইগুড়ি সদর ভাগ করে বেরুবাড়ি, মণ্ডলঘাট, বোয়ালমারি-নন্দনপুর এলাকা নিয়ে সদর দক্ষিণ সীমান্ত ব্লক তৈরি করে জলপাইগুড়ি পুরসভাকে কর্পোরেশনে উন্নীত করা যেতে পারে। ৬১৩.৯৬ বর্গ কিলোমিটারের রাজগঞ্জ ব্লক ভাগ করে ডাবগ্রাম ও ফুলবাড়িকে নিয়ে পুরসভা গঠন ও ৫৩৫.২৭ বর্গ কিলোমিটারের ধূপগুড়ির বানারহাট এলাকা নিয়ে পৃথক ব্লক গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। ফব নেতৃত্বের দাবি, প্রশাসনের কর্তারা তাঁদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে ক জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

বস্তুত, রাজ্য সরকার আলিপুরদুয়ার নিয়ে পৃথক জেলা গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই এলাকাবাসীর একাধিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার জন্য কার্যত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। ফরওয়ার্ড ব্লক রাস্তায় নেমেছে। আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিজেপি ও কংগ্রেসও। ফব-র জেলা সম্পাদক আবদুস সাত্তার বলেন, “দীর্ঘদিন বড় ব্লক ভাগের দাবি জানিয়ে আসছি।” দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গোবিন্দ রায়ের অভিযোগ, বামফ্রন্ট সরকার তাঁদের দাবি গুরুত্ব দেয়নি। বিজেপির জেলা সভাপতি দীপেন প্রামাণিক বলেন, “প্রশাসন উদ্যোগী না হলে আন্দোলন হবে।” পরিস্থিতি লক্ষ্য রেখে কৌশল ঠিক করার কথা জানান প্রাক্তন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষদস্তিদার। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “জনসংখ্যা যে হারে বেড়েছে তাতে পরিষেবা দেওয়ার জন্য ছোট ব্লক তৈরি করা জরুরি। কিন্তু রাজ্য সরকারের আর্থিক সমস্যার কথাও ভাবতে হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement