ছুটির দিনে জমে উঠল পাহাড়ে প্রচার

রবিবার ছুটির দিনে ভোট প্রচার জমে উঠল পাহাড়ে। এ দিন সকালে সব দলই পাহাড়ের বিভিন্ন মহকুমায় প্রচার চালিয়েছে। মোর্চা এবং বিজেপির তরফে যৌথ কর্মিসভা করা হয়েছে দার্জিলিঙের মালিধুরায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৪ ০৩:০২
Share:

ভোটের মুখে। পাহাড়ে ভোটের প্রচারে বাম প্রার্থী সমন পাঠক। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

রবিবার ছুটির দিনে ভোট প্রচার জমে উঠল পাহাড়ে। এ দিন সকালে সব দলই পাহাড়ের বিভিন্ন মহকুমায় প্রচার চালিয়েছে। মোর্চা এবং বিজেপির তরফে যৌথ কর্মিসভা করা হয়েছে দার্জিলিঙের মালিধুরায়। কার্শিয়াঙে সভা করেছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। তৃণমূলের তরফেও কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালানো হয়েছে পাহাড়ে।

Advertisement

মালিধুরার সভায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ এবং বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া দু’জড়েই পৃথক রাজ্যের দাবিতে সাওয়াল করে ভোট চেয়েছেন। দু’জনের আক্রমণের নিশানায় ছিল তৃণমূল। মোর্চা প্রধান সরাসরি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে বলেন, “পাহাড়ের বাসিন্দাদের স্বার্থেই মুখ বুজে তৃণমূলকে সমর্থন করিনি। রাজ্যসভায় তৃণমূলকে সমর্থনকে করেছিলাম, জেলবন্দি মোর্চা নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা হয় নি। আমরা এ ধরনের রাজনীতি সমর্থন করি না।” মোর্চা নেতার কথায়, “লোকসভা ভোটের ইস্তেহারে বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের কথা রাখবে বলেছে। যে দল গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে, তাকেই সমর্থন করব এমনটা নয়, বরং যারা গোর্খাল্যান্ড করতে পারবে তাদেরই সমর্থন করেছি।”

বিজেপি প্রার্থী অহলুওয়ালিয়া এ দিনও অভিযোগ করে বলেছেন, “তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। মুখ্যমন্ত্রী ভয় দেখাতে চাইছেন। এই ধরণের নীতি বেশি দিন চলতে পারে না।” এ দিনের সভায় পাহাড়ের শিক্ষাবিদ মহেন্দ্র পি লামারও সমালোচনা করেছেন তিনি। কার্শিয়াঙের সভায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন সিপিএমের প্রার্থী সমন পাঠকও। তিনি বলেন, “তৃণমূল পাহাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে বিভেদের রাজনীতি শুরু করেছে। বাসিন্দারা এটা মেনে নেবে না।” সিপিএম পপ্রার্থীর দাবি, এবারে তিনি প্রচারে সর্বস্তরের বাসিন্দাদের সাড়া পাচ্ছেন। পাহাড়ে শক্তিশালী স্বায়ত্ত শাসনের জন্য ষষ্ঠ তফশিলি যে তাঁদের প্রচারের প্রধান বিষয় তা এ দিনও জানিয়েছেন সমনবাবু। মোর্চা বা সিপিএমের সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের পাহাড় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এন বি খাওয়াস বলেন, “পাহাড়ের বাসিন্দারা মোর্চা নেতাদের মিথ্যে কথা আর প্রতিশ্রুতি শুনে বিরক্ত। মোর্চা সেটা জানে বলেই আবোলতাবোল কথা বলছে। আর সিপিএমকে মানুষ ইতিমধ্যেই দূরে সরিয়ে দিয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে পাহাড়ের বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন, থাকবেনও।”

Advertisement

কার্শিয়াঙে কর্মিসভা করেছেন কংগ্রেস প্রার্থ সুজয় ঘটক। তিনি মূলত পাহাড় এবং সমতলের মধ্যে সমন্বয়ের কথা বলেন। সুজয়বাবু বলেন, “আমরা পাহাড় পরিস্থিতির পরিবতর্ন চাইছি। সমতল এবং পাহাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছি। বাসিন্দারা ইন্নয়নের পক্ষেই ভোট দেবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement