করলা নদীর সেতুতে ওঠার পথ তৈরি হয়নি, ক্ষুব্ধ জলপাইগুড়ি

সেতু তৈরি শেষ হয়েছে বছর খানেক আগে। তবে ওই সেতুতে ওঠার রাস্তা তৈরির কাজ না হওয়ায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। জলপাইগুড়ির সমাজ পাড়া থেকে হাসপাতাল পাড়ার মধ্যে সংযোগকারী সেতুটি অব্যবহৃত পড়ে থাকায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৪ ০১:৩৯
Share:

দু’বছর আগেই শেষ হয়েছে সেতুর কাজ। তবুও অব্যবহৃত পড়ে। ছবিটি তুলেছেন রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেতু তৈরি শেষ হয়েছে বছর খানেক আগে। তবে ওই সেতুতে ওঠার রাস্তা তৈরির কাজ না হওয়ায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। জলপাইগুড়ির সমাজ পাড়া থেকে হাসপাতাল পাড়ার মধ্যে সংযোগকারী সেতুটি অব্যবহৃত পড়ে থাকায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার তরফেও দ্রুত সেতুটি ব্যবহারযোগ্য করার দাবি করা হয়েছে। সেতু তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন এসজেডিএ বা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তিন তিন বার সেতুর দু’দিকে রাস্তার তৈরির জন্য টেন্ডার করা হলেও, আগ্রহী সংস্থা না পাওয়ায় নতুন বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেতুতে ওঠার দু’দিকের রাস্তার জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা। টেন্ডার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে এসজেডিএ জানিয়েছে।

Advertisement

শহরের ১ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে যাওয়া করলা নদীর উপর ষষ্ঠ সেতুটির কাজ ২০১১ সালে শুরু হয়েছিল। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সেতুর কাজ শেষ হয়ে যায়। এই সেতু হলে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সঙ্গে সমাজপাড়া, ডি বি সি রোড এলাকার যোগাযোগ সহজ হবে। দু’পারের দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাও দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করার দাবি জানান। ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়ন্তী পাল এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রানি মাহাতো বলেন, “দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করার বিষয়ে চেয়ারম্যানকে দাবি জানানো হয়েছে।”

পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “পুরসভার তরফেও একাধিক বার সেতু ব্যবহারযোগ্য করার দাবি জানানো হয়েছে। সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে কেন অব্যবহৃত রয়েছে, এসজেডিএ-এর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।” এসজেডিএর সহকারী বাস্তুকার প্রকাশ লামা বলেন, “এ বছরের মধ্যেই সেতু ব্যবহারযোগ্য হয়ে যাবে। কিছু দিনের মধ্যেই সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডও তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement