কর্মী-সভায় তারকাদের বাম-কটাক্ষ

দেব ভাল নাচেন। অভিনয় করেন। ভাল অভিনয় করে সন্ধ্যা রায়ও। সৌমিত্র রায়ও নামী গায়ক। কিন্তু সংসদ যে হেতু নাচ-গান-অভিনয়ের জায়গা নয় তাই নির্বাচন ফুরোলেই রোজগারের তাগিদে তারা নিজেদের পেশায় ফিরে যাবে। তখন কাজের আশায়, এলাকার উন্নয়নের আশায় তারকাদের দেখা না পেয়ে ভোটারদের সমবেতভাবে গান গাইতে হতে পারে, ‘তোমার দেখা নাই রে, তোমার দেখা নাই।’

Advertisement

বাপি মজুমদার

চাঁচল শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৪ ০৫:১৯
Share:

দেব ভাল নাচেন। অভিনয় করেন। ভাল অভিনয় করে সন্ধ্যা রায়ও। সৌমিত্র রায়ও নামী গায়ক। কিন্তু সংসদ যে হেতু নাচ-গান-অভিনয়ের জায়গা নয় তাই নির্বাচন ফুরোলেই রোজগারের তাগিদে তারা নিজেদের পেশায় ফিরে যাবে। তখন কাজের আশায়, এলাকার উন্নয়নের আশায় তারকাদের দেখা না পেয়ে ভোটারদের সমবেতভাবে গান গাইতে হতে পারে, ‘তোমার দেখা নাই রে, তোমার দেখা নাই।’ তৃণমূল তারকাদের নির্বাচনে দাঁড় করানোয় দলীয় কর্মিসভায় এভাবেই নিজে ওই গান গেয়ে তাদের কটাক্ষ করলেন সিপিএমের রাজ্য সভার সাংসদ শ্যামল চক্রবর্তী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মালদহের চাঁচলে ওই কর্মিসভা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন শ্রম মন্ত্রী তথা সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অনাদি সাহুও। সিপিএমের পার্টি অফিস লাগোয়া আমবাগানে ওই কর্মিসভায় শ্যামলবাবু বলেন, “দেব ভাল নাচেন, অভিনয় করেন, সন্ধ্যা রায়ও ভাল অভিনয় করেন। একইভাবে উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থীও নামী গায়ক। তাদের সিনেমা দেখতে ও গান শুনতে মানুষের ভিড় হয়। কিন্তু তৃণমূল আর তেমন কাউকে পাচ্ছে না যে সংসদে গিয়ে এলাকার মানুষের হয়ে কথা বলবেন। এলাকার উন্নয়নের কথা ভাববেন। তাই বাইরে থেকে তারকা প্রার্থীদের নিয়ে এসে দাঁড় করানো হয়েছে। ফলে তাঁরা জিতলে এলাকার মানুষের জন্য আর কতটুকু কাজ করবেন।” মঞ্চে ‘তোমার দেখা নাই রে’ গান গেয়ে ওঠেন শ্যামলবাবু। তা শুনে হাততালিও পড়ে।

উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্য সভার সিপিএম সাংসদ। তিনি বলেন, “গনিখান তবু কিছু করেছিলেন মালদহের জন্য।” তাঁর অভিযোগ, “বিদায়ী সাংসদ তাঁর উন্নয়ন তহবিলের টাকায় কী করেছেন? কটা কেন্দ্রের প্রকল্প নিয়ে আসতে পেরেছেন? শুধু মামার নাম ভাঙিয়ে বছরের পর বছর তো আর চলতে পারে না।” এর পরে দলীয় প্রার্থী খগেন মুর্মুকে ‘ঘরের ছেলে’ বলে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে নামার কথা জানান তিনি। শ্যামলবাবু দলীয় কর্মিসভায় গান গেয়েছেন শুনে প্রথমে রসিকতার সুরেই তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “উনি আমার গান গেয়েছেন শুনে ভালো লাগল। আরে পরোক্ষে সিপিএমের মঞ্চে তো উনি আমারই প্রচার করলেন। আমি অবশ্য শ্যামলবাবুকে প্রচারের কথা বলিনি।” এর পরে সৌমিত্রবাবু বলেন, “আমি বছরে কতবার হরিশ্চন্দ্রপুরে আসি? মানুষের সঙ্গে কীভাবে মিশি? উনি কী খবর রাখেন? রাখলে এ সব কথা বলতেন না।” তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা সমাজকল্যানমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “অন্যদের নিয়ে না ভেবে ৩৪ বছরে ওরা কী করেছেন, সেটা নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করুন। তাতে ওদের ভালোই হবে।” বিদায়ী সাংসদ তথা কংগ্রেস প্রার্থী মৌসম বেনজির নূর অবশ্য গোটাটাই সস্তা প্রচারের কৌশল বলে দাবি করেন। মৌসম বলেন, “এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে, কী উন্নয়ন করেছি তার খতিয়ান মানুষ জানেন। শুধু সিপিএমই উন্নয়ন দেখতে পায় না। ওঁদের বলি, সস্তা প্রচারের জন্য অন্যদের বদনাম করে কাজের কাজ কিছু হবে না।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement