শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনের জন্য আসন পুনর্বিন্যাসের তালিকা প্রকাশ করা হল। সোমবার জেলা পঞ্চায়েত এবং গ্রাম উন্নয়ন দফতর থেকে তা প্রকাশ করা হয়। সেই মতো গত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে যেখানে ৩৩০ টি নির্বাচন ক্ষেত্র ছিল তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬২টি। সেই অনুসারে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আসন সংখ্যা ৪৬২টি। ৪ টি ব্লকে ৪টি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ছিল ৬৪টি। বেড়ে হয়েছে ৬৬টি। মহকুমা পরিষদের আসন পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে দেখা হয় জেলা পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে তাদের কাছে গত বারের চেয়ে ২টি আসন বাড়িয়ে আসন সংখ্যা ৯টি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে কমিশন এখনও কিছু জানায়নি। জেলা পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিক মণীশ বর্মা বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে বিভিন্ন ব্লকে সর্বদল বৈঠক করার পর এ দিন আসন পুনর্বান্যাসের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকেও তা জানানো হয়েছে।”
২০০৯ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে খড়িবাড়ি ব্লকে নির্বাচন ক্ষেত্রে ছিল ৫৭ টি এ বার তা বেড়ে হয়েছে ৭৯টি। মাটিগাড়া ব্লকে ৩৯ টি আসন বেড়ে হয়েছে ১২৩টি। নকশালবাড়ি ব্লকে আগে ছিল ৮৬টি এ বার পুনর্বিন্যাসে করা হয়েছে ১২১টি। ফাঁসিদেওয়া ব্লকে আগে ছিল ১০৩টি। তা বেড়ে হয়েছে ১৩৯টি।
পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন ছিল ১১টি, মাটিগাড়ায় ১৪টি, নকশালবাড়িতে ১৮টি এবং ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতিতে ২১টি। এ বার খড়িবাড়ি এবং মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে ১টি করে আসন বেড়েছে। পুনর্বিন্যাস নিয়ে খসড়া তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করা হলে তা নিয়ে কংগ্রেস, বামেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সুষ্ঠু আলোচনা ছাড়াই শাসক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে তা তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে সর্বদল বৈঠক করা হলে সেখানেও বিষয়টি নিয়ে হইচই হয়। এর পর গত ২৯ এপ্রিল ৪টি ব্লকে আলাদা করে সর্বদল বৈঠক করে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে সেই মতো তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। অভিযোগ বা পরামর্শগুলির একাংশ গ্রহণ করা হলেও কিছু ক্ষেত্রে তা গ্রহণ করা যায় নি। কেন তা গ্রহণীয় হয়নি সে ব্যাপারে কারণও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। কংগ্রেস জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার, জানান তারা বিষয়টি নিয়ে ব্লকের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। বিজেপির জেলা সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বসু জনান তারা বিষয়টি বিস্তারিত দেখেই যা বলার বলবেন। সিপিএমের কার্যকরী জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার জানান, পুনর্বিন্যাসের তালিকায় অভিযোগের বিষয়গুলি কতটা প্রধান্য পেয়েছে তা দেখবেন। আসন পুনর্বিন্যাসের তালিকা নিয়ে আজ, জেলা কার্যালয়ে দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জেলা সভাপতি গৌতম দেব।