উত্তরবঙ্গের আরও একটি পুরবোর্ড বামেদের হাতছাড়া হতে চলেছে। ওই পুরসভার তিন কংগ্রেস কাউন্সিলর শাসকদলে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, সোমবার, কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে আলিপুরদুয়ার শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়-সহ ওই তিন কংগ্রেস কাউন্সিলর ‘দলবদল’ করতে পারেন।
কিছু দিন আগেই বামেদের দখলে থাকা মেখলিগঞ্জ পুরসভা দখল করে তৃণমূল। সৌজন্য, দলীয় কাউন্সিলরদের দলবদল। তবে আলিপুরদুয়ারের ক্ষেত্রে দলের কেউ নতুন করে তৃণমূলের দিকে পা না-বাড়ালেও কংগ্রেসের তিন কাউন্সিলরের দলবদলের ফলে ওই পুরবোর্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে তৃণমূল। দলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “কংগ্রেস কাউন্সিলরদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। আগামী ২১ জুলাই কলকাতার শহিদ দিবসের মঞ্চে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তাঁরা নিজেরাই জানাবেন তাঁদের দলবদলের ইচ্ছার কথা।”
পুর নির্বাচনে, ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে আটটিতে জয়ী হয়ে বোর্ড দখল করেছিল বামেরা। কংগ্রেস এবং তৃণমূল দু’দলই ছ’টি করে আসন পায়। বোর্ড গঠনের সময় কংগ্রেস কাউন্সিলরা অনুপস্থিত থাকায় আট সদস্যকে নিয়েই বামেরা বোর্ডের দখল নেয়। কয়েক মাস আগে কংগ্রেসের তিন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিলে তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা হয় ৯। পুরসভায় দল হিসেবে গরিষ্ঠ হলেও, ২০ ওয়ার্ডের পুরসভায় একক গরিষ্ঠ বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১১ জন কাউন্সিলর না থাকায় বোর্ডের দখল নিতে তৃণমূল এত দিন উদ্যোগী হয়নি। কংগ্রেসের ওই তিন কাউন্সিলর দলবদলের ইচ্ছা প্রকাশ করায় আর সে ব্যাপারে বাধা থাকল না।
শনিবার দলবদলের কথা স্পষ্ট করে দীপ্তবাবু বলেন, “মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তৃণমূলনেত্রী আলিপুরদুয়ারকে জেলা ঘোষণার পর আমরাও উন্নয়নের সামিল হতে তৃণমূলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সঙ্গে স্ত্রী, শ্যালকও রয়েছেন।”