অবশেষে পুলিশের কাছে ধরা দিল আলিপুরদুয়ার বিস্ফোরণের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লাল সিংহ ডেকা। জলপাইগুড়ির বজরাপাড়া বিস্ফোরণের সঙ্গেও এই জঙ্গির যোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। বৃহস্পতিবার অসমের কোকরাঝাড়ে দলের আরও দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে অসম পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে ওই জঙ্গি। তাদের সঙ্গে পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছে কেএলও-র দুই ক্যাডারও।
পুলিশ জানিয়েছে, লাল সিংহ ডেকা কেএলও-র সাংগঠনিক সচিব। তার সঙ্গে ওই দিন ধরা দিয়েছে দলের সহকারী অর্থ সচিব পঞ্চানন ওরফে বিকাশ বর্মন এবং কেএলও-র প্রথম ব্যাটালিয়নের কম্যান্ডার বীরখাং ওরফে অনাথ রায় ওরফে তিরংগা। লাল সিংহ ও বীরখাং-এর নামে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ।
লাল সিংহ, বীরখাং ও পঞ্চানন অসমের বঙ্গাইগাঁওয়ের শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, লাল সিংহ ২০০৯ সালে কেএলও-তে যোগ দেয়। নেপালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই জঙ্গি ২০১৩ সালের আলিপুরদুয়ার বিস্ফোরণের প্রধান মাথা। বজরাপাড়া বিস্ফোরণের সঙ্গেও তার যোগ ছিল বলে অসম পুলিশ দাবি করেছে।
২০১৩ সালের ৭ মার্চ গভীর রাতে চৌপথীর কাছে একটি পরিত্যক্ত সাইকেলে ঝোলানো ব্যাগের ভিতর একটি টিফিন বাক্স দেখে সন্দেহ হয়েছিল পুলিশের। টিফিন বাক্সটি খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা যান পুলিশকর্মী লাল বাহাদুর লোহার। আলিপুরদুয়ারের চৌপথীতে ওই বোমা লাল সিংহ ডেকা নিজের হাতে রেখে এসেছিল বলে পুলিশের দাবি।
ওই বছরেরই ২৬ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ির বজরাপাড়া সেতুর কাছে সাইকেলে রাখা বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ছ’জনের। এই ঘটনায় কেএলও-র শীর্ষ নেতা টম অধিকারী-সহ আট জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়। লাল সিংহ ডেকা সেই ঘটনাতেও অন্যতম অভিযুক্ত।