প্রতীকী ছবি।
কোচবিহার
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা ও ব্লক কমিটিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আনা হল তরুণ মুখ। শুক্রবার, দলের জেলা পার্টি অফিসে নতুন কমিটি ঘোষণা হয়। দলের যুব সংগঠনের জেলা ও ব্লক কমিটি ঘোষণা করেন জেলা যুব সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কয়েকজন ব্লক নেতাকে কোনও কমিটিতে রাখা হয়নি। টিম পিকে’র পরামর্শ মেনে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তা নিয়ে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। দলের কর্মীদের একাংশের দাবি, কমিটিগুলোয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ঘনিষ্ঠদের ছাঁটাই করা হয়েছে। বদলে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের ঘনিষ্ঠদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নেতারা অবশ্য তা মানতে নারাজ। পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘দলনেত্রী এবং রাজ্য কমিটির নির্দেশেই কমিটি ঘোষণা হয়েছে।’’
জেলায় তৃণমূলের ব্লকের সংখ্যা ১৮ থেকে হয়েছে ২২টি। সভাপতি পদে তার চারটিতে পুরনো মুখ, বাকি ১৮টিতেই নতুন মুখ আনা হয়েছে।
পুরনোদের মধ্যে আবেদ আলি মিয়া, রথীন্দ্রনাথ মণ্ডলকে জেলার সহকারী সভাপতি, খোকন মিয়াঁ, জগদীশ বর্মাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটিতে তরুণ প্রজন্মের নেতা সম্রাট কুণ্ডু, আবু তালেব আজাদ, রাহুল রায়, সামিউল ইসলাম, কৃষ্ণকান্ত বর্মণ, ফারুক মণ্ডলদের জেলায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে আসা শৈলেন্দ্রপ্রসাদ সাউ জেলা সম্পাদক এবং উৎপলকান্তি দেবকে সহ সভাপতি করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি
কোচবিহারে যদিও নতুন প্রজন্মে আস্থা রাখা হয়েছে, জলপাইগুড়িতে দেখা গেল অন্য কৌশল। নতুন, পুরনো, বিক্ষুব্ধ বা অপসারিত, সকলের ঠাঁই হল জেলা কমিটিতে। শুক্রবার ঘোষিত ওই কমিটিতে ৬৬ জন রয়েছেন। দলই ধূপগুড়ির যে নেতাদের ‘দুর্নীতির অভিযোগে’ শো-কজ় করে তাঁদেরও কয়েকজন আছেন। ‘স্বচ্ছতা’র প্রশ্নে ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারিত নেতারাও কমিটিতে রয়েছেন।
জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “দস্যু রত্নাকরও ঋষি বাল্মিকী হয়ে উঠেছিলেন। রাজ্য নেতৃত্ব সকলকে আরেকবার সুযোগ দিলেন।”
তবে জলপাইগুড়ির কমিটিতে সব গোষ্ঠীর লোকজন রেখেও দল যাতে সুষ্ঠ ভাবে চালানো যায় তাই পর্যটনমন্ত্রী ও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক গৌতম দেবকে মাথায় রেখে কোর কমিটি গড়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। তাতে নতুন পদ তৈরি হয়েছে। যেমন সিনিয়র সহ সভাপতির পদ। পদে পুরনো মুখ অশোক বর্মণ , শশাঙ্ক রায়বাসুনিয়া, গোপাল ছেত্রী, করুণাময় চক্রবর্তী, গৌতম দাস রয়েছেন। এ দিন বেশ কিছু ব্লকের সভাপতি বদলেছে। ময়নাগুড়ি সাংগঠনিক ব্লক ছিল দু’টি, হয়েছে তিনটি। ধূপগুড়ি ব্লককেও তিনটিতে ভাঙা হয়েছে। যুব তৃণমূলের জেলা কমিটিও ঘোষণা করেছেন জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়।