পাকড়াও: আনা হচ্ছে ধৃত উত্তমকে। নিজস্ব চিত্র
শাসক দলের নেতার পাশে পিস্তল হাতে বসে থাকা যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে দিনহাটার সাহেবগঞ্জ এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম উত্তম বর্মণ। ধৃতের কাছ থেকে একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ এমএমের পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। ওই পিস্তল নিয়েই দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের যুব নেতা আলতাফ মিয়াঁর পাশে অভিযুক্ত যুবক বসে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃত ওই এলাকায় যুব তৃণমূলের কর্মী বলেই পরিচিত। এদিন ধৃতকে দিনহাটা অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক আটদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। কেন পুলিশ শাসক দলের ওই নেতাকে গ্রেফতার করছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, শাসক দলের চাপেই ‘নেতা’কে ছাড় দিতে চাইছে পুলিশ। দিনহাটার এসডিপিও উমেশ গণপত বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত কেউ ছাড় পাবে না।”
দলীয় সূত্রের খবর, আলতাফ বিধায়ক উদয়নবাবুর ঘনিষ্ঠ। বাম ক্ষমতায় থাকার সমত তিনি সিপিএমের নেতা ছিলেন। নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদেও ছিলেন তিনি। রাজ্যে পরিবর্তনের পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। আলতাফ কেবল বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। তাতেই সব স্পষ্ট হবে।’’ দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ অবশ্য অভিযুক্ত যুব নেতার পক্ষেই সওয়াল করেন। তিনি বলেন, “আলতাফ মিয়াঁর হাতে তো আর পিস্তল ছিল না, যার হাতে ছিল তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য পাওয়া যাবে।’’ বিজেপির কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি ব্রজগোবিন্দ বর্মন বলেন, “তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীর হাতেই পিস্তল ও বোমা রয়েছে। পুলিশ কিছু করছে না বলেই তারা নানা অপরাধ করছে।”
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূল নেতাদের ছবি একাধিকবার ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। কিছুদিন আগেই দিনহাটারই বড় আটিয়াবাড়ির তৃণমূল নেতা নরেশ বর্মণের কার্বাইন হাতে একটি ছবি ভাইরাল হয়। নরেশবাবু ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী। পরে কার্বাইন-সহ তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে আলতাফের পাশে পিস্তল-সহ বসে থাকা এক যুবকের ছবি ভাইরাল হয়। রাতেই ওই যুবকের পরিচয় বের করে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখানেই পিস্তল-সহ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।