আত্মঘাতী যুবকের দিদি। নিজস্ব চিত্র।
ছাগল চোর সন্দেহে এক যুবককে ঘরে আটকে রেখেছিলেন স্থানীয়রা। এ কিছুক্ষণ পরেই ঘরের ভিতর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ওই যুবকের। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশা বাজার এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। বারবিশা হাটের ইজারাদারের অফিস থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, যুবকের নাম চিরঞ্জিত রামায়ণ (২০)। তাঁর বাড়ি অসমের তামালডাঙার গারোপাড়ায়।
জানা গিয়েছে, তাঁর দিদির বাড়ি জোড়াই এলাকায়। তিনি সেখানে এসেছিলেন। এ দিন বারবিশায় সাপ্তাহিক হাটে তিনি খাসি বিক্রি করতে আসেন। ওই খাসিগুলি চুরির ছিল বলে অভিযোগ। সে সময় তাঁকে বারবিশা হাটের ইজারাদারের অফিসে আটক করে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বারবিশা বাজারে। খবর পেয়ে বারবিশা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মৃত ওই যুবকের দিদি সরস্বতী চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘হাট কমিটির অফিসে ভাইকে আটকে রাখা হয়। এমনকি তার কাছে জরিমানাও দাবি করা হয়।’’ চোর অপবাদ দেওয়ায় অপমানে তাঁর ভাই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ভাইয়ের মৃত্যুর বিচারের দাবিও জানিয়েছেন সরস্বতী।