প্রতীকী ছবি।
মেয়ের ‘প্রেমিক’কে বাড়িতে ডেকে এনে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবতীর বাবা-সহ গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সোমবার ওই যুবকের দেহ উদ্ধার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন খুনে প্রধান অভিযুক্ত ওই যুবতীর বাবা সঞ্জয় মণ্ডল-সহ তাঁর পরিবারের লোকজন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর গ্রামে টোটন মণ্ডল (২১)-এর দেহ উদ্ধার হয়। টোটনের দেহটি তাঁর বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি আমবাগানে পড়েছিল। স্থানীয়েরা পুলিশকে খবর দিলে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, চার বছর আগে প্রতিবেশী এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে টোটনের। অভিযোগ, তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেননি যুবতীর বাবা সঞ্জয় মণ্ডল। এমনকি, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই টোটনকে খুনের হুমকি দিতে থাকেন যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। মাসখানেক আগে এ নিয়ে থানায় অভিযোগও করেন টোটন। অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিলেন সঞ্জয় এবং তাঁর পরিবার। সে ভয়ে বাড়িছাড়া হন টোটন। নিহতের পরিবারের দাবি, রবিবার গভীর রাতে টোটনকে যুবতীর বাড়িতে ডেকে পাঠান সঞ্জয় এবং তাঁর পরিবার। তার পর থেকেই টোটনের মোবাইল বন্ধ করা ছিল। সোমবার গ্রামের একটি আমবাগানের ভিতর থেকে টোটনের যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, টোটনকে পিটিয়ে খুন করে আমবাগানে ঝুলিয়ে দিয়েছিল যুবতীর পরিবারের লোকজন।
এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, টোটনের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও গলায় একটি দড়ি পেঁচানো ছিল।