Dharna

Dharna: বিয়ে করতেই হবে, শিক্ষকের দরজায় ধর্নায় বসলেন মালদহের সিভিক ভলান্টিয়ার সীমা

তরুণীর ধর্নায় বসার ঘটনা ঘিরে শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে মালদহের গাজোল থানার হরিদাস গ্রামে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২১ ১৮:১৪
Share:

তখনও ধর্নায় বসে সীমা। নিজস্ব চিত্র

স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে শিক্ষক প্রেমিকের বিরুদ্ধে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন সিভিক ভলান্টিয়ার এক তরুণী। সোমবার সকাল থেকে ওই তরুণীর ধর্নায় বসার ঘটনা ঘিরে শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে মালদহের গাজোল থানার হরিদাস গ্রামে। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা ওই তরুণীকে সরিয়ে দিয়েছে। তবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমা বিশ্বাস নামে ওই তরুণী গাজোল থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কর্মরত। তাঁর দাবি, বছর দুয়েক আগে গাজোলের বাসিন্দা পেশায় হাইস্কুলে শিক্ষক উৎপল সরকারের সঙ্গে তাঁর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সেখান থেকেই দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সূত্রপাত। পরে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় বলেও সীমার দাবি। অভিযুক্ত উৎপল মালদহেরই বামনগোলা ব্লকের দহিল হাইস্কুলের শিক্ষক।

Advertisement

ধর্নায় বসে থাকা সীমা বলেন, ‘‘ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আমাকে বিয়ে করার। ওরা আমাকে টাকা দিয়ে সরে যেতে বলেছিল। আমি তাতে রাজি হইনি। এর পর ও আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ ভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ও দেখা না করা পর্যন্ত আমি বসে থাকব। একান্ত না হলে অন্য ব্যবস্থা নেব।’’ তবে গাজোল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সীমাকে উৎপলের বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে চলে যায়। এর পরে সীমা গাজোল থানায় উৎপলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সেই সময় বাড়িতে উৎপল ছিলেন না। তাঁর মা কণিকা সরকার বলেন, ‘‘আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়েটির কোনও সম্পর্ক নেই। ছেলে বলেছে, ‘ও শুধু বান্ধবী। ও আমাকে ফাঁসাবে আমি এমনটা ভাবতেও পারিনি। আমাদের মধ্যে তেমন কোনও কিছু হয়নি। ও কিছু প্রমাণও করতে পারবে না।’ মেয়েটি বাড়িতে এসে উৎপলকে খুঁজছিল। আমি চেয়ারও দিলাম বসতে। তবে উৎপলকে ফোনে পাচ্ছিলাম না।’’

Advertisement

ধর্না তুলে নিলেও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সীমা। ফলে এই বিতর্কের জল যে আরও গড়াবে তা মনে করছেন অনেকে। তবে বিষয়টি মধুরেণ সমাপয়েৎ হোক চাইছেন দু’পক্ষের শুভানুধ্যায়ীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement