প্রতীকী চিত্র
আগামী চারদিন হলুদ ও কমলা সতর্কতা জারি করল উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম সেবা কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই সময়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাতে নদীতে জল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ে ধসও নামতে পারে। বাসিন্দাদের সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আনাজ চাষে ক্ষতি হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌসম সেবা কেন্দ্রের নোডাল অফিসার শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় চারদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। সে ভাবেই সকলকে প্রস্তুতি নিতে হবে। কৃষকদের আনাজ চাষে জল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে।” ইতিমধ্যেই মৌসম সেবাকেন্দ্রের পক্ষ থেকে কৃষকদের কাছে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ও ফোনের মাধ্যমে ওই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
মৌসম সেবা কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তার জেরেই আগামী চারদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। আজ, সোমবার ও বৃহস্পতিবার হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। এই দু’দিন দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের (৭ থেকে ১১ সেমি) সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। ওই দু’দিন ওই জেলাগুলির সঙ্গে মালদা এবং উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ২০ সেমি) হবে। দু’এক জায়গায় চূড়ান্ত ভারী (২০ সেমির বেশি) বৃষ্টিও হতে পারে। তাতে নদীতে জল বাড়বে। অসংরক্ষিত এলাকায় জল ঢুকে পড়তে পারে। পাহাড়ে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কোচবিহার ও উত্তরবঙ্গের একটি বড় অংশে বর্তমানে আনাজ চাষ হচ্ছে। বর্ষাকালীন আনাজ তুলে নেওয়া হচ্ছে। শীতকালীন আনাজ চাষও শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি হতে পারে। নিচু জমি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উঁচু জমিতেও সঠিক নিকাশি ব্যবস্থা না থাকলে জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সময়ে সেচ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কোনও রকম কীটনাশক স্প্রে করতে নিষেধ করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৃষ্টিতে আনাজের দাম আরও বাড়তে পারে। কোচবিহারের একটি ফার্মাস ক্লাবের সম্পাদক অমল রায় বলেন, “বৃষ্টিতে ধান চাষের কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু আনাজের ক্ষতি হবে। সকলকে আগাম ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়েছি।”