বোনাস নিয়ে ফের বিরোধ

তৃণমূলের অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক সংগঠন তরাই ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন ওর্য়াকার্স ইউনিয়নও চুক্তিতে সামিল। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস প্রভাবিত সংগঠনগুলিও এই হার মেনে নেয়। এই চুক্তি প্রকাশ্যে আসার পরই বেঁকে বসেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

ছোট এবং মাঝারি চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাসের হার নিয়ে একমত হতে পারছে না জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনগুলি। বেশ কয়েক দিন ধরে তৃণমূলের একাধিক চা শ্রমিক সংগঠনগুলিকে মেশানোর প্রস্তুতি চলছে। মতবিরোধ দূর করতেই এই পদক্ষেপ বলে নেতারা দাবি করেন। কবে সে কাজ শেষ হবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে বিরোধ চলছেই। বোনাস চুক্তি নিয়ে বিরোধ আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী একটি শ্রমিক সংগঠন প্রকাশ্যেই অভিযোগ করছে, দলেরই অন্য সংগঠন মালিকপক্ষের কাছে শ্রমিক স্বার্থ ‘বিকিয়ে’ দিয়েছে। অন্য সংগঠনের পাল্টা দাবি, এক নেতা ব্যক্তিগত অভিমানে শ্রমিকদের বোনাস থেকে বঞ্চিত রাখার পরিকল্পনা করছেন।

Advertisement

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ছোট এবং মাঝারি চা বাগানের বোনাস নিয়ে বৈঠক ছিল। বৈঠকে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। গত বৃহস্পতিবার সকালে বটলিফ কারখানার শ্রমিকদের বোনাস চুক্তি হওয়ার পরে ছোট এবং মাঝারি চা বাগানের শ্রমিক এবং মালিক সংগঠন বৈঠকে বসে। সিদ্ধান্ত হয় সর্বোচ্চ ১৭.৭০ শতাংশ হারে শ্রমিকরা বোনাস পাবেন। যা কিনা বড় চা বাগানের বোনাস হার থেকে মাত্র আশি পয়সা কম। এই চুক্তিকে সাফল্য হিসেবেই দাবি করছে ডান-বাম বেশ কিছু সংগঠন। তৃণমূলের অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক সংগঠন তরাই ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন ওর্য়াকার্স ইউনিয়নও চুক্তিতে সামিল। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস প্রভাবিত সংগঠনগুলিও এই হার মেনে নেয়। এই চুক্তি প্রকাশ্যে আসার পরই বেঁকে বসেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি।

সংগঠনের জেলা সভাপতি কৃষ্ণেন্দু মোহন্ত বলছেন, “আমরা এই চুক্তি মানি না।” আগামী ১ অক্টোবর কলকাতায় চা শ্রমিক সংগঠনগুলির বৈঠক রয়েছে। কৃষ্ণেন্দু জানান, দোলা সেনের কাছে অভিযোগ জানানো হবে। তরাই-ডুয়ার্স ইউনিয়নের নেতারা অবশ্য দলের মূল শ্রমিক সংগঠনের আপত্তিকে আমল দিচ্ছে না। তাদের পাল্টা যুক্তি, পুজোর দিন ক্রমশ এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। বোনাস চুক্তি ঝুলে থাকলে শ্রমিকরাই বঞ্চিত হতো। তরাই ডুয়ার্স ইউনিয়নের জেলা সভাপতি তপন দে বলেন, “কোন নেতা ব্যক্তিগত ভাবে চুক্তি সইয়ের সময়ে কেন ডাক পাননি তা বলতে পারব না। তা নিয়ে কারও ব্যক্তিগত অভিমান থাকতে পারে, তবে তা শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী। আমরা চাই পুজোর আগে গরিব শ্রমিক পরিবারগুলি যেন বোনাস পায়। সব সংগঠন একসঙ্গে সই করেছে। আইএনটিটিইউসি-রও প্রতিনিধির সই রয়েছে।” তপনের দাবি, কালীপুজোরপরে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হবে মালিকপক্ষ এই শর্তে রাজি হওয়াতেই চুক্তি মানা হয়েছে।

Advertisement

ব্লক স্তরে সংগঠনে রদবদলে জেলা তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল চলছে, এবার বোনাসের হার নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের কাজিয়াও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement