বাগডোগরা বিমানবন্দরে পরেশ অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
এই দেড় দিন ধরে কোথায় ছিলেন পরেশ অধিকারী? কেনই বা তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নেরই জবাব খুঁজছে মেখলিগঞ্জ তথা কোচবিহার।
মঙ্গলবার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে চাপেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ। বুধবার ভোরে তাঁদের ছবি ধরা পড়ে বর্ধমান স্টেশনে। তার পর থেকে আর তাঁদের কারও খোঁজ নেই। ফোনও বন্ধ ছিল। হাই কোর্ট কঠোর অবস্থান নেওয়ার পরে দেড় দিন বাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে ফের বাগডোগরা থেকে বিমান ধরতে দেখা গেল। আর কোনও কথা নয়, শুধু বলে গেলেন, “কলকাতা যাচ্ছি।”
দলের একটি সূত্রের দাবি, ‘জরুরি’ প্রয়োজনে উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন পরেশ। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্যও তিনি ফিরেছিলেন কি না, সেই গুঞ্জনও রয়েছে। যদিও অন্য একটি সূত্রের বক্তব্য, কলকাতাতেও আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারতেন তিনি। তাই নিছক এই যুক্তিতে তাঁর উত্তরবঙ্গ ফেরাকে মান্যতা দেওয়া যায় না।
পরেশকে নিয়ে এ দিন সরব হন বিরোধীরা। কোচবিহারে সিপিএমের একটি মিছিলে হাঁটেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পরে সেলিম বলেন, “যখন কোনও অভিযোগ আসে, তদন্ত হয়, তখন যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে সরে যেতে হয় বা সরিয়ে দিতে হয় তদন্তের স্বার্থেই। এখানে সেটা হচ্ছে না।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু প্রশ্ন করেন, “প্রায় দেড় দিন ধরে কেন লুকিয়ে রইলেন এক জন মন্ত্রী?” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, “আইনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।”