প্রতীকী ছবি।
ব্যাপারটা যেন ‘রং দিয়ে যায় চেনা’। পুরভোটের আবহেই এ বার দোল উৎসব। আর তাতেই টক্করের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আবিরের রঙেও। রঙের আমি, না তুমি? গেরুয়া, না সবুজ? পাল্লা ভারী কার? আবির মজুত করতে গিয়ে এসবও মাথায় রাখতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের এবার। কোন রংয়ের আবির বেশি বিক্রি হতে পারে, তা রীতিমতো পর্যালোচনা করেই দোকানে মজুত করতে চাইছেন তাঁরা। এক্ষেত্রে ‘দুধেভাতে রং’ গোলাপি। ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, দোলে প্রতি বছর গোলাপি আবিরের চাহিদা সবার কাছেই। তাই এই আবির মজুত করা নিয়ে তেমন ভাবনার ব্যাপার নেই। কিন্তু অন্য রংয়ের আবির? সেটা কতটা রাখা হবে? সেটাই ভাবতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কোচবিহারে গত কয়েক বছর ধরে দোলে প্রায় ১০০ টন আবিরের চাহিদা থাকে। এক সময় গোলাপি আবিরের সঙ্গে চাহিদায় পাল্লা দিত লাল আবির। পরে সবুজের চাহিদা বাড়ে। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর অবশ্য ‘অকাল হোলি’তেও গেরুয়া আবিরের চাহিদা অনেক এলাকাতেই বেশি ছিল। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নারায়ণ মোদক বলেন, “বাজারের চাহিদা বুঝেই যে কোন সামগ্রী মজুত করতে হয়।” তাঁর দাবি, গতবার সবুজের চাহিদা বেশি ছিল। ব্যবসায়ীদের একাংশের অনুমান, এ বারেও সবুজের চাহিদায় ঘাটতি হবে না। গেরুয়ার চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনাও যথেষ্ট। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “সবুজ, গেরুয়া আবিরের চাহিদা বেশি থাকবে বলে মনে হচ্ছে।’’
অন্দরের খবর, দোলকে সামনে রেখে জনসংযোগে বাড়তি মাত্রা আনার কথা ভাবছেন যুযুধান শিবিরের অনেকে। যদিও ওই হোমওয়ার্কের প্রসঙ্গ ‘এড়িয়ে’ যাচ্ছেন নেতারা। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি। প্রতিবারই কর্মীরা দোলে শামিল হন। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।’’ বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তীও বলেন, “দোলের সঙ্গে রাজনীতি গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।’’ একই কথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়েরও। বাকিটা অপেক্ষাই