প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে ‘সেতুবন্ধন’ করতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলায় এসেছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত জেলা নেতাদের একসঙ্গে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামাতে সমন্বয়কারীর কাজ করবেন অর্পিতা, এমনটাই খবর। তৃণমূলের জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠক করে সেই বার্তা দেবেন এই রাজ্যসভার সাংসদ।
বিপ্লব মিত্র জেলার চেয়ারম্যান হবার পরেই জেলা সভাপতি গৌতম দাসের সঙ্গে একাধিকবার মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। জেলার দুই হেভিওয়েট নেতার পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে দলের বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে। শুধু এই দুই নেতাই নন, জেলার আটটি ব্লক ও তিনটি পুর এলাকার সাংগঠনিক নেতাদের মধ্যে একাধিক লবি রয়েছে। বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে প্রার্থী কে হবেন সে বিষয়ে লবিগুলির মধ্যে দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, একটা সময় জেলা সভাপতি থাকায় জেলায় অর্পিতারও নিজস্ব একটি লবি রয়েছে। ফলে ভোট এগিয়ে এলেও তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে একজোট হতে পারছে না। এই অবস্থায় অর্পিতাকে জেলায় পাঠিয়ে জেলার প্রথম সারির নেতাদের একজোট করার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, এমনটাই খবর। সেই নির্দেশেই গত শনিবার জেলায় এসেছেন অর্পিতা।
তারপরেই বিপ্লব ও গৌতমকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। জেলার বিভিন্নপ্রান্তে ছোট ছোট সভাও করেছেন তিনি। উদ্দেশ্য, বিপ্লব, গৌতম ও অর্পিতাকে একসঙ্গে, এক মঞ্চে দেখে অন্তত নীচুতলার কর্মীরা একজোট হতে পারেন। বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই সেতুবন্ধনের কাজ করে যাবেন অর্পিতা। অর্পিতা বলেন, ‘‘নেত্রীর নির্দেশেই এসেছি। ভোট পর্যন্ত জেলায় থাকব। জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সমস্ত নেতৃত্বই একজোট আছেন, আরও মজবুত করতে হবে।’’ জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘অর্পিতাদি অনেকদিন সভাপতি ছিলেন। তাই জেলার সংগঠনও উনি ভাল চেনেন। ওনারও প্রয়োজন আছে। তাই এসেছেন।’’ এখন দেখার, গোষ্ঠীন্দ্বন্দ্বে জর্জরিত জেলার সংগঠনের কতটা হাল ফেরাতে পারেন
এই নাট্যকর্মী নেত্রী।