ফাইল চিত্র।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সিকিম ও দার্জিলিঙের অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলছে। তাপমাত্রার পারদও ক্রমশ নামছে। সিকিমের নাথুলা, ইয়ুমথাংয়ের বেশ কিছু এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ রাতে শূন্যের নীচে নেমে যাচ্ছে। তবে সান্দাকফুতে তাপমাত্রা এখনও ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামেনি। টাইগার হিলেও ভোরের দিকে পারদ পৌঁছচ্ছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সমতলের কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ক’দিন উঁচু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। তুষারপাতও চলছে উত্তর সিকিমে। নাথুলাতেও। তবে ঝঞ্ঝা ক্রমশ অসমের দিকে সরে যাচ্ছে বলে আবহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে।’’
তবে সমতলে এখনও কয়েকটি জায়গায় হালকা কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক রঞ্জন রায়। তিনি জানান, ঝঞ্ঝা দুর্বল হয়ে সরছে। তবে তা চলে যাওয়ার আগে উত্তরবঙ্গের সমতলের কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে উপগ্রহ চিত্রে আভাস মিলেছে। তিনি বলেন, ‘‘ঝঞ্ঝা পুরোপুরি সরলেই জাঁকিয়ে শীত পড়বে বলে মনে হচ্ছে।’’ বুধবার শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা অবশ্য শিলিগুড়ি ও লাগোয়া জলপাইগুড়িতে তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি ওঠে।
একে আবহাওয়া ক্রমশ শীতল হচ্ছে। তার উপরে বাজি পোড়ানোর কারণে বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সরকারি হাসপাতালে জ্বর-সর্দির রোগীদের ভিড় বাড়ছে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মেডিসিন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনই অন্তত ২০০ জন এমন রোগী এসেছেন। বিভাগের কয়েক জন বিশেষজ্ঞ জানান, বেশির ভাগই অ্যালার্জির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শিলিগুড়ি হাসপাতালেও একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন শতাধিক রোগী-রোগিণী।