—প্রতীকী চিত্র
নতুন নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনমত গড়তে চায় বিজেপি। দেশের অধিকাংশ মানুষই যে ওই আইনকে সমর্থন করছেন, তা প্রমাণ করতে টুইটারে ‘অনলাইন ভোট’ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। দলীয় সূত্রে খবর, যে সব বিজেপি নেতা, কর্মী বা সমর্থকের টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁদের রবিবারের মধ্যেই তা খুলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্ট খুলতে কারও সমস্যা হলে তাঁদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বিজেপির আইটি সেল কর্মীরা।
জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ৯টা থেকে দেশ জুড়ে টুইটারে ভোট নেওয়া হবে। প্রত্যেক বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থক যাতে তাতে নতুন আইনের পক্ষে ভোট দেন, তা নিয়ে দলের তথ্যপ্রযুক্তি সেল (আইটি সেল) কার্যত ‘হুইপ’ জারি করেছে।
বিজেপি আইটি সেল সূত্রে খবর, দেশ জুড়েই একই সময়ে টুইটারে ভোটগ্রহণ করা হবে। ‘হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া সাপোর্টস সিএএ’ নামে ওই অন-লাইন ভোট নিয়ে জেলা বিজেপির আইটি সেলও তৎপর। দলীয় সূত্রে খবর, দলের জেলা আইটি সেলের তরফে বিজেপি নেতা বা দলের অন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ করে ওই ভোটে শামিল হতে বলা হচ্ছে।
বিজেপির বক্তব্য, যত বেশি সংখ্যায় নতুন আইনের সমর্থনে ভোট পড়বে, তত বেশি জোর বাড়বে প্রচারে। বিজেপি আইটি সেল জানিয়েছে, দেশ জুড়ে ওই ভোটে যাতে তিন কোটি মানুষ শামিল হয়ে নতুন নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থন করেন, সে জন্য জেলায় জেলায় হুইপ জারি করা হয়েছে।
জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকেও বিজেপি শিবির ৮০ হাজার ভোটের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। কিন্তু জেলায় ৮০ হাজার বিজেপি সমর্থকের কাছে টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই। জেলা বিজেপির হিসেবে, মাত্র ১০০-১৫০ জন বিজেপি কর্মীর টুইটার সক্রিয় রয়েছে। আরও হাজারখানেক টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘নিষ্ক্রিয়’ অবস্থায় রয়েছে। দলের তরফে জানা গিয়েছে, ওই বিপুল লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জেলা আইটি সেলের তরফে ৫০ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন কর্মীর টুইটার অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। তার মাধ্যমেই দেওয়া হবে ভোট। যাঁদের অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় রয়েছে, তা সচল করে অনলাইন ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে জেলা পার্টি অফিসে বিশেষ শিবিরও খোলা হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির আইটি সেলের কনভেনার উৎপল মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলা থেকে ৮০ হাজার ভোট করা হবে। যে হেতু এত জনের কাছে টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই,
তাই আমরা কর্মীদের নিয়ে বসে অ্যাকাউন্ট খুলে সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’’