চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
সাতদিন পর অবশেষে হাসপাতালে ফিরলেন চিকিৎসক। হাসপাতালে ফিরতেই চরম বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে তিনি মুচলেখা দিলেন হাসপাতালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার। উল্লেখ্য, গত সাতদিন ধরে বিনা নোটিসে ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসক। সমস্যায় পড়েছিলেন এলাকাবাসী। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তড়িঘড়ি চিকিৎসককে কাজে ফেরাতে তৎপর হন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
বুধবার সকাল থেকে চিকিৎসকের বদলির এবং হাসপাতালে ভাল পরিষেবার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বিক্ষোভের খবর শুনে হাসপাতালে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ। এর পর অভিযুক্ত চিকিৎসক এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। কথা দেন সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবে স্বাস্থ্য দফতর। আন্দোলনকারীদের কাছে সহযোগিতার আবেদনও জানান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। প্রতিশ্রুতি দেন ৭ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হবে।
বিক্ষোভকারী বিবেক প্রধান বলেন, “হাসপাতালে সঠিকভাবে পরিষেবা পায় না সাধারণ মানুষ। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সাত দিন হাসপাতালে আসেননি একমাত্র চিকিৎসক। চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে আমাদের। তাই চিকিৎসকের বদলির দাবিতেই আজকে আমাদের এই বিক্ষোভ।” অভিযুক্ত চিকিৎসক দেবাশিস দাস অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর গাড়ি খারাপ থাকায় এই কয়েকদিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে পারেননি।