jalpaiguri

একটি মেসেজে পৌঁছবে আনাজ

এখন জলপাইগুড়িতে কিছুটা অন্যরকমও হচ্ছে। সরাসরি কৃষকের খেত থেকে আনাজ যাচ্ছে শহরে ক্রেতাদের ঘরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫৯
Share:

ছবি:শাটারস্টক

বাজারের থলেতে বাড়ি এসে গেল ধনেপাতা, পালংশাক। কিছুক্ষণ আগে মোবাইলে এসেছে সেগুলি খেত থেকে তোলার সময়কার লাইভ ফুটেজ। মাসখানেক ধরে এমনও হচ্ছে জলপাইগুড়িতে।
সাধারণত খেত থেকে তুলে আনাজ নিয়ে কৃষককে ছুটতে হয় হাটে-বাজারে। সেখানে থেকে একাধিক হাত ঘুরে সেগুলি যখন খুচরো বাজারে আসে, দেখা যায় কৃষক যে দামে বিক্রি করেন তার থেকে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এখন জলপাইগুড়িতে কিছুটা অন্যরকমও হচ্ছে। সরাসরি কৃষকের খেত থেকে আনাজ যাচ্ছে শহরে ক্রেতাদের ঘরে। এর উদ্যোক্তা জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ডেঙ্গুয়াঝাড়ের একটি কৃষি উৎপাদক ক্লাব। তারা হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ তৈরি করে আনাজপাতি সরবরাহ করছেন। কী কী আনাজ প্রয়োজন গ্রুপে লিখে দিলেই পরদিন বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
রংধামালির কৃষক ধনেশ রায় বললেন, “এখন পটল আর সুজি কচু দিচ্ছি। এতদিন পটল গড়পরতা ২০-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। কখনও কখনও দাম ৫ টাকাতেও নেমে এসেছে। এ বার খোলাবাজারে যা দাম প্রায় তাই পাচ্ছি আমরা।” এই কৃষক ক্লাবটি সরকার স্বীকৃত। জলপাইগুড়ির সহ কৃষি অধিকর্তা মেহেফুজ আলম বলেন, “কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। কৃষকদের আনাজ এক হাত ঘুরেই পৌঁছে যাচ্ছে গেরস্থের ঘরে।” মেহেফুজ আলম রয়েছেন সেই গ্রুপে। জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত জেলাশাসক থেকে সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সকলেই গ্রুপে রয়েছেন এবং অন্যদের মতো তাঁরাও তালিকা দিয়ে আনাজ কিনছেন। পলি হাউস থেকে ধনেপাতা তোলা হচ্ছে, খেত থেকে পালংশাক নেওয়া হচ্ছে এমন ভিডিয়োও দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের।
ক্লাবের অন্যতম কর্তা শ্রীকান্ত মণ্ডল বলেন, “কোনও কোনও আনাজ আমরা খোলাবাজারের থেকেও কম দামে দিতে পারছি, কারণ সরাসরি কৃষক এবং ক্রেতার যোগাযোগ করাচ্ছি আমরা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement