প্রতিবাদ: রাস্তার উপরেই চলছে যজ্ঞ। লাটাগুড়িতে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
শ্রাদ্ধ হল। হল যজ্ঞও৷ গরুমারায় গন্ডার হত্যা নিয়ে লাটাগুড়িতে এ ভাবেই প্রতিবাদে নামল সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটি নামে একটি সংগঠন৷
সম্প্রতি গরুমারার জঙ্গলে দু’টি গন্ডারের দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়ে৷ ওই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে লাটাগুড়িতে গরুমারা প্রকৃতি পরিচয় কেন্দ্রের কাছে শ্রাদ্ধের আয়োজন করে সংগঠনটি৷ দই, চিড়ে, চাল, কলা দিয়ে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ-সহ অনুষ্ঠান হয়৷ সংগঠনের আহ্বায়ক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বন্যপ্রাণীরা আমাদের জন্যই বেঁচে থাকে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাদের রক্ষার দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদের গাফিলতিতেই গরুমারায় দু’টি গন্ডার মারা গেল৷’’
এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে গোটা ঘটনায় উত্তরবঙ্গে বন রক্ষার দায়িত্বে থাকা উচ্চ আধিকারিকদের থেকে শুরু করে নীচু তলা পর্যন্ত সবাইকে অপসারিত করার দাবিও তোলে সংগঠনটি৷ গন্ডারের দেহ উদ্ধারের পর একজন বিট অফিসার-সহ বন দফতরের পাঁচজনকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। সঞ্জীববাবুর দাবি, ‘‘যারা প্রতিদিন বাতানূকুল ঘরে বসে থাকছেন তাঁদের ছাড় দেওয়া হল৷ এটা মানা যায় না৷’’
আরও পড়ুন:টিলার মাথায় নেটওয়ার্ক, রেশন তুলতে হয়রান গ্রাম
দিন কয়েক আগেই বন্যপ্রাণীদের রক্ষায় গরুমারা অভয়ারণ্যের চারিদিকে গড়ে ওঠা বেআইনি রিসর্টগুলোর লাইসেন্স বাতিলের দাবি তুলেছিলেন শাসকদল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি ফেডারেশনের জলপাইগুড়ি ফরেস্ট উইং-এর সভাপতি প্রবীর ভট্টাচার্য৷ এই দাবির তোলার জন্য এ দিন তাঁর গ্রেফতারের দাবি তোলেন সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটির কর্তারা৷
সঞ্জীববাবুর অভিযোগ, ‘‘এই দাবির জন্য গরুমারার রিসর্টগুলোতে পর্যটকরা আসতে ভয় পাচ্ছেন৷ তাই আমরা তাঁর গ্রেফতার চাই৷’’ প্রবীরবাবুর পাল্টা দাবি, বন আইনে যা বলা হয়েছে তার ভিত্তিতেই এই দাবি তোলা হয়েছে। তাঁদের সংগঠন এখনও একই অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান প্রবীরবাবু।