রাতের ট্রাকে উদ্ধার এক কোটি

রাত ১১টা নাগাদ কালিয়াচক থেকে একটি ট্রাক উত্তর দিনাজপুরের দোমহনার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটিতে কোনও পণ্যসামগ্রী ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৪:৪১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

গভীর রাতে নাকা চেকিং চলছিল। সেখানে একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে চালকের আসনের নীচ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা উদ্ধার হল। বিপুল পরিমাণ এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে মালদহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসনিক মহলে। এত টাকা ট্রাকে করে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার গভীর রাতে ইংরেজবাজার থানার যদুপুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টাকা উদ্ধারের পর ওই ট্রাকটি আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া নোটগুলি সবই দু’হাজার এবং পাচঁশো টাকার। পুলিশ চালককে গ্রেফতার করেছে। ট্রাকের খালাসি পালিয়ে গিয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চালকের নাম উমর ফারুক। বাড়ি কালিয়াচক থানার শাহবাজপুরের সাদারিটোলা গ্রামে। ওই গাড়ির আরোহী রাজু শেখ নামে একজন পালিয়ে গিয়েছে। সেও কালিয়াচক এলাকার বাসিন্দা। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতকে বুধবার আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে পাঁচদিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই যদুপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় রুটিনমাফিক যানবাহনের উপর নজরদারি এবং নাকা চেকিং চলছিল। রাত ১১টা নাগাদ কালিয়াচক থেকে একটি ট্রাক উত্তর দিনাজপুরের দোমহনার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটিতে কোনও পণ্যসামগ্রী ছিল না। ট্রাকটি দাঁড় করিয়ে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাতেই চালকের হতচকিত চেহারা এবং অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ জাগে পুলিশের। তারপর ওই ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশের হাতে আসে বস্তাবন্দি প্রায় কোটি টাকার দু’হাজার ও পাঁচশো টাকার নোট। কী উদ্দেশ্যে এত বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে-ব্যাপারে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি ধৃত চালক। পুলিশি অভিযানের সময় পরিস্থিতি বুঝে চালকের সঙ্গী রাজু এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।

Advertisement

তদন্তকারী পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই টাকা কোথা থেকে এল বা কার কাছে পৌঁছনোর কথা ছিল, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘একটি ট্রাকে তল্লাশি চালয়ে চালকের সিটের নীচ থেকে ৯০ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে এত বিপুল পরিমাণ টাকা ট্রাক চালকের সিটের নীচে বস্তাবোঝাই করে পাচার করা হচ্ছিল, তা জানতে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার পিছনে অবৈধ লেনদেন থাকতে পারে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement