আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতদের। —নিজস্ব চিত্র।
প্রথমে অচেনা মহিলাকণ্ঠে ফোন। কিছু কথাবার্তা। তা থেকেই সম্পর্কের সূত্রপাত। তার পর দেখা করতে ডেকে অপহরণ। পরে মুক্তিপণ দাবি। মালদহের মানিকচকে এই ভাবে প্রেমের ফাঁদ পেতে দুই যুবককে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। তবে পুলিশও চলে পাতায় পাতায়। অপহৃতদের আত্মীয় সেজে দুই যুবককে তারা উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি দুই অপহরণকারীকেও গ্রেফতার করেছে। খোঁজ চলছে ওই মহিলারও।
রবিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন মালদহের মানিকচক থানার বালুপুরের বাসিন্দা জাহাঙ্গির আলম এবং মাবুদ মোত্তাকিন। অনেক খোঁজাখুজি করেও তাঁদের সন্ধান পায়নি পরিবার। এর পর রাতে আসে অপহরণকারীদের ফোন। ফোনে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পুলিশে জানালে অপহৃতদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু পর দিনই মানিকচক থানায় অভিযোগ করের জাহাঙ্গির এবং মাবুদের পরিবার। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। অপহৃতদের ফোনের লোকেশন ট্র্যাক পুলিশ জানতে পারে চাঁচলের মালাহার এলাকায় রাখা হয়েছে দুই যুবককে। পুলিশকর্মীরা জাহাঙ্গির এবং মাবুদের পরিবারের সদস্য সেজে অপহরণকারীদের ডেরায় হাজির হয়। তার পর হাতেনাতে ধরে ফেলে দুই অপহরণকারীকে। উদ্ধার করা হয়েছে দুই যুবককেও।
ধৃতদের জেরা করে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই জাহাঙ্গিরের সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথন চালাচ্ছিল এক মহিলা। আসলে তা ছিল ‘ফাঁদ’। জাহাঙ্গিরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে ভাব জমায় ওই মহিলা। এর পর ওই মহিলার আমন্ত্রণে জাহাঙ্গির তাঁর মামাতো ভাই মাবুদকে নিয়ে রতুয়া রওনা দেন। তার পর থেকেই তাঁরা নিখোঁজ। জাহাঙ্গির জানিয়েছেন, রতুয়া থেকে তাঁদের গাড়ি করে চাঁচোল নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর তাঁদের হুঁশ ছিল না বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গির। তাঁদের একটি ঘরে বন্দি রাখা হয়। যদিও সেখানে তাঁরা কোনও মহিলাকে দেখতে পাননি। পুলিশ ওই মহিলার খোঁজ করছে।