আক্রান্ত দুই কাউন্সিলর ও এক জনের মা। —ফাইল চিত্র।
আবার মালবাজারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দু’পক্ষের মারপিটে আহত হলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পুলিন গোলদার এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় লোহারের মা বীণা। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা মাল বাজারে। থানায় দায়ের হল অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার মালবাজার পুরসভায় তুলকালাম বাধে। কাউন্সিলর থেকে তৃণমূল নেতারা পুরসভা চত্বরেই নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়ান। তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন। যদিও কী নিয়ে এই গন্ডগোলের সূত্রপাত, সেটা পরিষ্কার নয়।
মাল পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পুলিন গোলদারের অভিযোগ, ‘‘পুর ভবনে ঢোকার মুখে আমাকে নিগৃহ করা হয়েছে। আমার মুখে আঘাত লেগেছে।’’ তাঁর অভিযোগের তির তৃণমূলের মাল শহর কমিটির সভাপতি অমিত কুমারের দিকে। তিনি নাকি পুরসভার তরফে দেওয়া একটি কাজের বরাদ্দ অর্থ নয়ছয় করেছেন। হিসাব দেননি। তারই হিসাব চাওয়ায় অমিত-গোষ্ঠী ক্ষিপ্ত হয়ে দলেরই একাংশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
ওই ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন কাউন্সিলর অজয় লোহারের মা বীণা। তাঁকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে তিনি মালবাজার থানায় ১৩ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্য দিকে, পুলিন গোলদার নামে আর এক কাউন্সিলর ৭ জনের নামে মালবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এই ঝামেলা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অমিত দের বক্তব্য, ‘‘ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঝামেলা হয়। ওখানে কেউ দলের ঝান্ডা নিয়ে যাননি। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছেন।’’
অন্য দিকে, পুলিনের হাতে এক মহিলা নিগৃহীত হয়েছেন বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন অমিত দে গোষ্ঠীর লোকজন। ওই মহিলাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কাউন্সিলর অজয়ের মা বীণা লোহার বুকে গভীর আঘাত নিয়ে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।