আতঙ্ক: জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে একটি নির্মীয়মাণ সেতুর সেন্টারিংয়ের কাঠামো। আশঙ্কায় বাসিন্দারা। ছবি: স্বরূপ সরকার
রাত থেকে বৃষ্টি চলায় হাওয়ায় বেশ হিমেল ভাব। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা বারো বছরের ছেলেটির গায়ে কোনও জামা নেই। মাঝেমধ্যেই কেঁপে কেঁপে উঠছে সে। কয়েকবার বিছানা থেকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হতে নার্সরা ছুটে এসে ধরেন। ক্ষুব্ধ এক হাসপাতাল কর্মী বললেন, “গতকাল থেকে হোমকে জানাচ্ছি, একটা জামাও দিয়ে গেল না।”
জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পাঁচতলার পুরুষ মেডিক্যালে ভর্তি কোরক হোমের আবাসিক কিশোর। পাশের ওয়ার্ডে কোরক হোমেরই আরেক আবাসিক ভর্তি সপ্তাহখানেক ধরে। এই দু’জনকে সবসময়ে চোখে চোখে রাখবে কে, তা নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে হাসপাতাল ও হোম কর্তৃপক্ষের মধ্যে। হাসপাতালের সুপারের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, কোরক হোমকে লিখিত ভাবে দুই আবাসিককে দেখভালে জন্য সর্বক্ষণের কর্মী পাঠাতে বলা হয়েছিল, ফোনও করা হয়েছিল। কাজ হয়নি। কোরক হোমের সুপার দেবব্রত দেবনাথের কথায়, “আমাদের কর্মীর অভাব রয়েছে। হাসপাতালকে জানিয়েছি। একজন যাতে সবসময় থাকে চেষ্টা করছি। হাসপাতালেরও সহযোগিতা চেয়েছি।’’
কোনও হোমের আবাসিক হাসপাতালে ভর্তি থাকলে দেখভালের জন্য হোম থেকে সর্বক্ষণের কর্মী পাঠানোর নিয়ম। যদিও কোরক হোম কর্তৃপক্ষ সে নিয়ম মানছে না বলে দাবি হাসপাতালের। সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, “হাসপাতাল থেকে ওষুধ, খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু রোগীর সঙ্গে তো একজনকে থাকতে হয়।’’
গত সপ্তাহে জটিল রোগ সংক্রমণ নিয়ে এক আবাসিককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল কর্মীদের দাবি, ভর্তির প্রথম দিনেই সেই কিশোর বিছানায় বমি, পায়খানা করে দেয়। রবিবার আরেক কিশোরকে হাসপাতালে পাঠায় হোম কর্তৃপক্ষ। সোমবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, দুই কিশোরের পাশে কেউ নেই। দু’জনের গায়ে কোনও জামাও নেই।