হোম থেকে পালানো ২ কিশোরী উদ্ধার দুই জেলায়

মালদহের হোম থেকে পালানো দুই কিশোরী উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ বাকি তিনজন। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। একই সঙ্গে পাঁচ আবাসিক পালানোর ঘটনায় শো-কজ করা হয়েছে হোমের ভারপ্রাপ্ত সুপারকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৪
Share:

মালদহের হোম থেকে পালানো দুই কিশোরী উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ বাকি তিনজন। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। একই সঙ্গে পাঁচ আবাসিক পালানোর ঘটনায় শো-কজ করা হয়েছে হোমের ভারপ্রাপ্ত সুপারকে।

Advertisement

মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক আর. ভিমলা বলেন, ‘‘নিখোঁজদের মধ্যে একজনকে শিলিগুড়ির এনজেপি এবং অন্যজনকে রামপুরহাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের হোমে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। হোমের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। শো-কজ করা হয়েছে হোমের ভারপ্রাপ্ত সুপার নন্দা নিয়োগীকে।’’ শো-কজের জবাব পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নন্দাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।’’

হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার একমাত্র এই মহিলা আবাসে মোট ৭৭ জন কিশোরী রয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের বাসিন্দা রয়েছে মোট ১৯ জন। বাকিরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। হোমে তাদের ঘুমনো এবং পড়ার জন্য পৃথক চারটি করে ঘর রয়েছে। এছাড়া চারটি শৌচাগার রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রক্ষী এবং কর্মীর সমস্যা রয়েছে। এই মুহূর্তে রয়েছেন পাঁচ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং চারজন সাধারণ কর্মী। ফলে নানা সময় হোম চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

Advertisement

হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভির মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হয়। সেই ফুটেজেই দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের এক আবাসিক শিল নোড়া দিয়ে ছাদে যাওয়ার দরজার তালা ভেঙেছে। তার পরই একসঙ্গে ৩০ থেকে ৩৫ জন আবাসিক পালানোর চেষ্টা করে। ছাদ থেকে চাদর বেয়ে পাঁচ জন নেমে পালিয়ে যেতে পারলেও দুইজন পড়ে যাওয়ায় হইচই শুরু হয়ে যায়। যার ফলে বাকিরা আর কেউ পালাতে পারেনি। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশনে একজনকে আটক করে জিআরপি। অপর কিশোরী নিজেই বীরভূমের রামপুরহাট হোমে গিয়ে হাজির হন। জানা গিয়েছে, সে ওই হোমেই আগে ছিল। বাকিদের খোঁজ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement