সিন্ধু ও রাজেশ। নিজস্ব চিত্র
দার্জিলিং চিড়িয়াখানা পেল তার নতুন সদস্যদের। বৃহস্পতিবার থেকে সিন্ধু ও রাজেশ নামে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রের দু'টি চিতাবাঘের স্থায়ী ঠিকানা হল দার্জিলিং চিড়িয়াখানা।
এ দিন সকালে পদ্মজা নায়ডু হিমালয়ান জ়ুলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ ওই দু’টি চিতাবাঘকে দার্জিলিং নিয়ে যান। তবে পুরনো ঠিকানা ছেড়ে নতুন ঠিকানায় যেতে এ দিন মোটেই রাজি ছিল না রাজেশ ও সিন্ধু। সকালে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাদের নিতে এলে তারা প্রথমে এনক্লোজার ছেড়ে বেরোতে চায় নি। পরে পুনর্বাসন কর্মীরা অনেক চেষ্টা চালিয়ে দু’জনকে এনক্লোজার থেকে বের করে চিড়িয়াখানার গাড়িতে তুলে দেয়। তবে বাঘ দু’টি চলে যাওয়ার মুহূর্তে পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মীদেরও চোখ ছলছল করছিল।
২০১৬ সালে রাজাভাতখাওয়ায় বনকর্মীদের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে মানুষখেকো সিন্ধু। বনের পথ দিয়ে বাবার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যাওয়ার সময়ে এক নাবালককে মাঝ পথ থেকেই তুলে নিয়ে গিয়েছিল সিন্ধু। প্রায় আড়াই বছর পুনর্বাসন কেন্দ্রে কাটিয়ে এ বার সিন্ধু দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় দর্শকদের মন ভোলাবে। রাজেশ নামে চিতাবাঘটিকে অবশ্য কিছুদিন আগে মাদারিহাট থেকে উদ্ধার করেছিলেন বনকর্মীরা।
ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রের কেয়ারটেকার পার্থসারথি রায় বলেন, ‘‘এই কেন্দ্রে বাঘেদের আসা যাওয়া লেগেই রয়েছে। তবে যে বাঘগুলো অনেকদিন এখানে থাকে তাদের যত্ন ও সেবা করতে করতে তাদের ওপর মায়া পড়ে যায়। পরে তারা অন্য কোথাও চলে গেলে আমাদের সবার মন খারাপ হয়ে যায়।’’
কোচবিহারের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, ‘‘দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে সাধারণ অসুস্থ বা সদ্য উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘেদের রাখা হয়। যারা সুস্থ তাদের চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। সেখানে তারা আরও খোলামেলা পরিবেশ পায়’’
বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, ‘‘দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রকে ঢেলে সাজাতে ইন্ডিয়ান জ়ু অথরিটির সঙ্গে যৌথ ভাবে উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। এখানে চিতাবাঘই বেশি। তাই লেপার্ড সাফারি চালুর চিন্তাভাবনা রয়েছে।’’ তবে চিতাবাঘ ছাড়াও দক্ষিণ খয়েরবাড়ি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রয়েছে রাজা নামের একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও।