—ফাইল চিত্র।
আগে অনেকবার চেষ্টা করেও নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি দখলে আসেনি। সিপিএমের নির্বাচিত সদস্যদের দলে টেনে এনেও কাজের কাজ হয়নি। কিন্তু, মঙ্গলবার সেই নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে ক্ষমতাসীন সিপিএমের আরও ২ জন এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদ সমর্থিত ১ জনকে নিজেদের দলে যোগ দেওয়ালেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। যে তিন জন তৃণমূলে যোগ দিলেন, তাঁরা হলেন, সিপিএমের অরিন্দম ঘোষ, প্রবীর দাস এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদ সমর্থিত রাজেন্দ্র তিরকে। তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘যত শীঘ্রই সম্ভব অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সমিতির সদস্যরা। এখন নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।’’
১৮ সদস্য বিশিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতি বর্তমানে সিপিএমের দখলে রয়েছে। একজন নির্দলের সমর্থনে সিপিএমের ৯ জন মিলে বোর্ড চালাচ্ছেন। বাকি ৮টি আসনের মধ্যে ১টি কংগ্রেসের দখলে। বাকি ৭টি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। মঙ্গলবার সিপিএম থেকে আসা ২ জন এবং এক জন নির্দলকে পাশে পেলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা কিন্তু দাঁড়িয়ে যাচ্ছে ১০ জনে। ফলে, অনাস্থা আনলে সিপিএম যদি কংগ্রেসের ১ জনকে পাশে পায়, তবুও সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে।
সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, ‘‘নকশালবাড়িতে কী হয়েছে, তা বিশদে খোঁজ নিচ্ছি। জবরদস্তি দল ভাঙানো মানে জবরদখলের রাজনীতি কেউ মন থেকে বরদাস্ত করতে পারেন না সেটা তৃণমূলকে বুঝতে হবে। এ ভাবে জোর করে ক্ষমতা হাসিল করা অনৈতিক।’’
যদিও সদ্য দলত্যাগী সিপিএমের অরিন্দম ও প্রবীর একযোগে জানান, ক্ষমতাসীন থেকেও উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলেন না তাঁরা। অরিন্দম বলেন, ‘‘প্রতি পদে আটকে যাচ্ছিলাম। এলাকার উন্নয়ন না হলে মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। দেখলাম, তৃণমূলে থাকলে উন্নয়নে গতি আসবে। তাই দল ছাড়লাম।’’ আদিবাসী বিকাশ পরিষদের প্রার্থী রাজেন্দ্র জানান, তিনি এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে। সম্প্রতি মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করেছে তৃণমূল। তাই নকশালবাড়িও তাদের হাতে চলে গেলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মোট চারটি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে তিনটিই দখলে রাখবে শাসক দল। খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি এখন বামেদের দখলে রয়েছে। মহকুমা পরিষদও বামেদের দখলে। সাতটি আসনের মধ্যে চারটি বামেদের।