আটক হওয়া সাপের বিষ। নিজস্ব চিত্র
জলপাইগুড়ি হয়ে চিনে পাচারের ছক। সুদৃশ্য ক্রিস্টালের তিনটি জার ভর্তি গোখরো সাপের বিষ-সহ গ্রেফতার পাচারকারী। বাজেয়াপ্ত বিষের বাজার মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা। ধৃত যুবকের নাম সলিন আখতার মণ্ডল (৩২)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায়। বাংলাদেশ থেকে এই বিষ ভারতে ঢুকেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বন দফতরের। বিষ পাত্রের গায়ে লেখা ফ্রান্সের ‘রেড ড্রাগন’ কোম্পানির নাম। জলপাইগুড়িতে হাত বদলের সময় ওই যুবককে বমাল গ্রেফতার করে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বন কর্মীরা।
জলপাইগুড়িতে ২০১৫ সাল থেকে একের পর এক অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে সাপের বিষ উদ্ধার করেছে বৈকুন্ঠপুর বন বিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জ। পাচারের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বন দফতর। পরের কয়েক বছর বিষ পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে না এলেও কারবার যে বন্ধ থাকেনি, তা আবার প্রমাণিত হল।
জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ৭৩ মোড় এলাকায় গোখরো সাপের বিষ হাত বদল হতে পারে, শুক্রবার সকালেই গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের কাছে এই খবর আসে। খবর পাওয়া মাত্র বন দফতরের বিশেষ দল গরুমারা সাউথ রেঞ্জের রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে অভিযানে নামে। খবরের সূত্র ধরে এক যুবককে বমাল গ্রেফতার করা হয়। তবে পাচারকারীদের অনেকেই পালিয়ে যায় বলে খবর বন দফতর সূত্রে। পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি বিএমডব্লিউ গাড়িকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সূত্র ধরেই বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বন দফতর।
শুক্রবারই ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করে জেল হেফাজতের আবেদন জানায় বন দফতর। আদালত ছ’দিনের জেলা হেফাজত মঞ্জুর করেছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি আদালতে সহকারী সরকারি আইনজীবী সিন্ধুকুমার রায়।