জমি বিবাদে অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি নেতার

পদমতি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটপট্টি এলাকার বাসিন্দা ক্ষিতীশ সরকার স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে দেড় বিঘা জমি কিনেছিলেন। বছর আড়াই আগে তার মৃত্যু হয়৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ০৪:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

জমি নিয়ে বিবাদের জেরে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বধূকে পেটে লাথি ও কোদালের বাঁট দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে৷ ময়নাগুড়ির ভোটপট্টি এলাকায় মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে৷ গুরুতর অসুস্থ ওই বধূকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷

Advertisement

জানা গিয়েছে, পদমতি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটপট্টি এলাকার বাসিন্দা ক্ষিতীশ সরকার স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে দেড় বিঘা জমি কিনেছিলেন। বছর আড়াই আগে তার মৃত্যু হয়৷ ক্ষিতীশবাবুর ছেলেরা এখন ওই জমিতে চাষ করেন৷ তাঁর এক ছেলে শুভলাল সরকার জানান, ২৭ বছর আগে তাঁর বাবা দেড় বিঘা জমি কিনলেও তা রেজিস্ট্রি হয়নি৷ বাবার মৃত্যুর কিছুদিন পর থেকে তৃণমূলের কিছু নেতা ওই জমিটি অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে তাঁদের শাসাতে থাকেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শান্ত বসাকের কাছে গেলে তিনি দশ লক্ষ টাকা দাবি করে৷ কিন্তু আমরা দিতে রাজি হইনি৷’’

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে শুভলাল সরকারের মা ও দুই বৌদি ওই জমিতে কাজ করছিলেন৷ অভিযোগ, সেই সময় শান্ত বসাকের নেতৃত্বে কিছু লোক ওই জমিতে ঝান্ডা পুঁততে যান৷ শুভলাল সরকারের বৌদি সাধনা সরকার তাঁদের বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয়৷ সাধনাদেবী অভিযোগ করেন, ‘‘ওরা আমার বুকে সজোরে আঘাত করে ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে৷ তা দেখে বাড়ি থেকে ছুটে আসেন আরেক জা পায়েল৷ সে পাঁচ মাসের গর্ভবতী জেনেও শান্ত বসাক তার পেটে লাথি মারে। কোদালের বাঁট দিয়ে আঘাত করে৷

Advertisement

মার খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই বধূ৷ পরিবারের লোকেরা কোনও মতে তাকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান৷ হাসপাতালের বেডে শুয়ে ওই বধূ বলেন, ‘‘হাতজোড় করে ওদের বলি, আমি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা৷ তাও প্রথমে লাথি ও পরে কোদালের বাঁট দিয়ে পেটে মারল৷’’ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই বধূ এখনও বিপদমুক্ত নন।

ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্কৃয়তারও অভিযোগ উঠেছে৷ গৃহবধূর বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, মঙ্গলবার ঘটনার পরই তারা ময়নাগুড়ি থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে৷ বাধ্য হয়ে তাই তারা জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি৷ ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ ময়নাগুড়ি থানা কেন অভিযোগ নেয়নি তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement