Trinamool Youth Congress

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে যুব তৃণমূল

করোনা আবহের মাঝেই মালদহ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হয় জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসকে। রাজনৈতিক মহলে প্রসেনজিৎ আবার প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৩২
Share:

—প্রতীকী ছবি

কৃষি আইন বাতিলের দাবি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় ও পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগকে সামনে রেখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মালদহে পথে নামছে যুব তৃণমূল। কাল বুধবার, মালদহ জেলা সদর ইংরেজবাজার শহরে ‘মেগা রোড-শো’ করবে তাঁরা। সংগঠনের দাবি, সেদিন জেলার বিভিন্ন ব্লক ও দুই শহর থেকে অন্তত ৩০ হাজার কর্মী সমর্থক তাতে যোগ দেবেন। এতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বও থাকার কথা। এ দিকে, ওই রোড শোকে ঘিরে কর্মব্যস্ততার দিনে শহর অবরুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শহরে বাঁধতে পারে যানজটও। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, যানজট যাতে না হয় সেই চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

করোনা আবহের মাঝেই মালদহ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হয় জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসকে। রাজনৈতিক মহলে প্রসেনজিৎ আবার প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে এর মধ্যেই সংগঠনের জেলা ও ব্লক কমিটি ঘোষণা করেছেন তিনি। সংগঠন সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিকে সামনে রেখে এ বার মাঠে নামতে চলেছে জেলা যুব তৃণমূল। এ ধরনেরই বিভিন্ন নানা ইস্যুকে সামনে রেখে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কাল বুধবার ইংরেজবাজার শহরে মেগা রোড শো-এর ডাক দিয়েছে জেলা যুব তৃণমূল।

সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ জীবন-জীবিকা চালাতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়ছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘মানুষ মারা’ নীতির জন্যই এখন এই পরিস্থিতি। নয়া কৃষি আইন করে কৃষক সমাজকেও বিপাকে ফেলেছে তারা। এ নিয়েই আমরা প্রতিবাদ জানাবো। মালদহ কলেজ মাঠ থেকে রোড শো শুরু হয়ে শেষ হবে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে। সেখানে সভাও হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘মালদহ চলো’ স্লোগানে জেলাজুড়ে রোড শো সফল করতে প্রচার চলছে।

Advertisement

এ দিকে, তৃণমূল যুবর মেগা রোড শো-কে ঘিরে বুধবার কর্মব্যস্ততার দিনে শহর অবরুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। ভুক্তভোগী শহরবাসী জানান, কর্মব্যস্ততার দিনে যে কোনও মিছিল হলেই শহরে যানজট বেধে যায়, আর বড় মিছিল হলে শহরের একাংশ পুরো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে বুধবার কয়েকঘণ্টা শহর অবরুদ্ধ হলে সমস্যায় পড়তে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement